সেই কোন ১৯৭৭ সালের আগষ্টের দ্বিতীয় দিনে, যারে
কাছে পেয়ে ছিলাম একান্ত আপন করে সে আমার
প্রিয়তমা। দেখেছিলাম অবসর সময় কলেজ মাঠে
বন্ধুদের সাথে গোল হয়ে বসে আলাপ চারিতায়।
প্রথম দর্শনেই যারে আলাদা করে চিনতে এতটুকু
কষ্ট হয়নি, তার ব্যক্তিসত্ত্বা চিনিয়ে দিয়েছিল সবার
থেকে আলাদা করে। এখন ও তা বজায় আছে চল্লিশ
বছর পরে। বন্ধুদের সাথে বসে সেই কলেজ মাঠে
তাকিয়ে ছিল নীল আকাশ পানে, আপন মনে কি যে
ভাবনায় তারে পেয়েছিল সে-ই জানে। টানা টানা
চোখে দেখেছি সমুদ্রের গভীরতা আর মাথা ভরা ঘন
কালো চুল যেন ধূর্জটির জটা। মোটা মোটা দুটা সুদীর্ঘ
বেনুনী কাঁধের উপর দিয়ে বুকের পরে ঢেউ খেলে  
কোল আলোকিত করে হাতের সাথে খেলা করছে।
মন ভুলানো সে দৃশ্য হৃদয়কে জয় করে নেয় নিমিষের
মাঝে। ও যে ছিল সবার চাইতে আলাদা হাস্যোজ্জ্বল
বি,এ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। হৈ হুল্লোড় বিবর্জিত
সুমধুর, শান্ত সুশীতল প্রকৃতির ক্রোড়ে এক অপূর্ব
নারী প্রতিমূর্তি। বন্ধুদের  কথা শুনছে কিনা জানিনা,  
তবে হ্যাঁ সবার মধ্যে আলাদা করে নিতে কোন কষ্ট
হয় নাই। বেঁধেছিলাম তারে ভালবাসার  ডোরে আপন
করে। নিঃসঙ্গ জীবনে বুকের পাশে আপন আশ্বাসে।
সাথী, বন্ধু, সহযোদ্ধা সংসার জীবনের কঠিন যুদ্ধে,
জয়ী হলাম এ কঠিন লড়াইয়ে। একে একে কেটে গেল
চল্লিশ বছর। পিছন ফিরে  তাকাতে হয়নি ক্ষনিকের
তরে। স্নেহময়ী জননী রূপে, কল্যানময়ী ধাত্রী রূপে,
প্রেমময়ী সহধর্মিনী সংসার জীবনে যেন এক জীবন্ত
গীতা;  অতি কাছের বন্ধু, আত্মার আত্মীয় আপনজন
আমার সেই রীতা।


১৬ই শ্রাবন, ১৪২৪,
ইং ০২/০৮/২০১৭,
বুধবার, রাত ১টা।