আনন্দই সত্য সত্যই আনন্দ জগতের মাঝে,
নিরানন্দই মিথ্যা ব্যক্তি কিংবা সমষ্টির কাজে ।
জীবের হিতের তরে যারা ভাবে আনন্দে তারা রবে,
সত্য সে কথা কয় বলিতে থাকে না ভয় এই ভবে।


পরের ক্ষতি মহাপাপ, অন্তরে বাড়ায় তাপ
ও আনন্দ! ও আনন্দ! কোথায় তোরে পাব বল?
চারিদিকে শুনতে যে পাই শুধুই নিরানন্দের কোলাহল।
আনন্দই ধর্ম আর নিরানন্দই অধর্ম,
প্রকৃতি থেকে নিয়েছি যে বর্ম সেই তো ধর্ম।


কর্মের জন্য ধারণ করেছি সংসার,
সেই তো নিরানন্দের আধার।
নিজের ভাবনা প্রতিষ্ঠার তরে,
করি কর্ম বারে বারে ধরার পরে।
নিজের স্বার্থ উদ্ধারিতে,
ভুলে যাই পরহিতে,
মোর ইচ্ছার বোঝা চাপাই বিপরীতে।


ভুলায়ে দিতে চাই পদার্থের ধর্মাধর্ম,
সার্থক করিতে নিজের ইচ্ছা, নিজের কর্ম।
এই কি জীবের ধর্ম? নয় এ পাপ?
ব্যক্তিস্বার্থই এনেছে জীবনে শোক-তাপ।
সেই তো পাপ, সেই তো নিরানন্দ,
প্রকৃতি প্রদত্ত ধর্মাধর্ম সেই তো আনন্দ।
ব্যক্তি চাওয়া ব্যক্তি পাওয়ায়
সৃষ্টি হল সমাজ ধর্ম গোষ্ঠী কর্ম,
ছিন্নভিন্ন হলো প্রকৃতির আনন্দ ধর্ম ।


জন্ম নিল মানুষে মানুষে ভেদাভেদ,
ধরণীর পরে ছড়ালো হিংসা ক্লেদ।
এই ধর্ম প্রকৃত সত্য ধর্ম নয়,
সেটাইতো সত্য রূপি আনন্দের ভয়।
যাক কেটে যাক নিরানন্দ, যাক কেটে যাক ভয়,
সত্যরূপে আনন্দ এসে মানুষের মাঝে যেন কথা কয়।


১লা কার্তিক, ১৪২৫,
ইং ১৯/১০/২০১৮,
শুক্রবার, সকাল ৮টা।