বৃষ্টিতে ভেজা জুঁই ফুল দেখি তাকিয়ে জানালা দিয়ে; ঝরঝর বৃষ্টি ঝরিছে ভিজেছে দেহ তার বর্ষার জলে। রুনু ঝুনু বর্ষার ধ্বনি যেন আমি শুনি, আকাশে পাতিয়া কান; গুরু গুরু দেয়া ডাকে, দামিনী চমকায় বুঝি এলো বান। শ্রাবণের শেষ ভাদ্রের শুরু, থৈ থৈ জল টলমলে, বাড়ি ঘর গুলো ডুবে গেল বুঝি ঐ বর্ষার জলে। দুঃখ কষ্ট মানুষের সৃষ্ট, তারি মাঝে অপূর্ব রূপ রাশি, প্রকৃতিতে আজ এই প্রভাত বেলায় বুঝি মেঘে ঢাকা আকাশে বসে কে যেন বাজায় বাঁশি। তুলনাহীন, যেন গহীন গাঙে নাও ভাসায়ে মাঝিরা গান গায়, পালের হাওয়া লাগছে দোলা কোন অভিষ্টের পানে ধায়। যাও রে মাঝি বাওরে তরী জীবন সিন্ধুর মাঝে, ঢেউয়ের দোলায় দুলে দুলে তরী পৌঁছে যাবে সাঁঝে। শুরু থেকে সেই অভীষ্ঠ এর মাঝে রূপের বাহার দেখি, কত ছেড়ে দিয়ে নানান ভাবে কত কি যে প্রকৃতির কাছে শিখি। প্রভাত বেলায় আধাঁরে ঢাকিছে, কুয়াশামাখা বৃষ্টি আসিছে, আবচ্ছা লাগিছে দুরের গাছপালা; সবুজ সাদায় থৈ থৈ জলের কায়া আলো-আঁধারির খেলা, বসে দেখি আজিকার এই প্রভাতবেলা। বৃষ্টি থামিলো আলো ফুটলো, পাখিরা উড়িল আকাশে, বুঝি নাই আমি, দখিনা হাওয়ায় বৃষ্টির ছিটায় কখন ভিজিয়ে দিল বাতাসে। একি রূপ তার, রূপ মনোহর, পরান জুড়িয়ে দেয় নতুন সৃষ্টির ভাবনায়। কিশোর কিশোরী ভিজে স্নানের সাজে সেজে কাগজের নৌকা ভাসায় জলে, আনন্দে হাটু জলে নেমে হই হই করে নাচিছে দলে দলে। আমি জানালায় বসে ভাবি, ফেলে আসা অতীতের ছবি  যত, আজ যেন ফিরে পেতে চাই কৈশোরের ফেলে আসা তাই, ঐ কিশোর কিশোরীদের মত।


৩১ শে শ্রাবণ, ১৪২৬,
ইং ১৭/০৮/২০১৯,
শনিবার, সকাল, ৮:৪৫। ৭৫৬, তাং ১৭/০৮/২০১৯।