ছোট্ট ফটিক গরিব ঘরের ছেলে,
পড়াশোনায় মন্দ নয় ক্লাসে প্রথম হয়,
সবাই তারে ভালো ছেলে বলে।


ভীষণ কষ্ট করে পড়াশোনা করে,
বাড়ির সকল কাজ তাকেই করতে হয়,
তবু সে স্কুলে যায় বড় হবে বলে।


পুজোর শেষে স্কুল খুললো সবার,
শিক্ষক রচনা লিখতে দিয়েছিল "তোমার পূজা",
আনন্দে কেমন কাটল তোমার?


মাস্টারমশাই ডাকলো হেকে তারে,  
ওরে ফটিক একটিবার এদিক পানে আয়,
কি লিখেছিস পূজার আনন্দের ঘোরে?


শরতের নীল আকাশে মেঘের আনাগোনা
নদীর পাড়ে কাশবনেতে হাওয়ায় ফুলের দোলা,
সব মিলিয়ে ভালোই ছিল লিখনীটার বোনা।


কানটি ধরে ঝাকুনি দেয় এই শিখেছিস তুই?
ষষ্ঠী সপ্তমী অষ্টমী নবমী সব খেয়েছিস গুলে,
দশমীর দিন পূজার শুরু লিখলি কোন ভুলে।


ফটিক বললো- তাদের পূজা, স্যার দশমীতেই শুরু,
বাবা ঢাকি, শহরেতে ঢাক বাজিয়ে বাড়ি ফিরে যবে
আনন্দেতে বুকটা মোদের ভরে ওঠে তবে।


সবার যখন বিসর্জনের শেষ আমরা করি শুরু,
নতুন জামা, মায়ের নতুন কাপড় আমরা তখন পাই,
আর সাথে বাবার আয়ে আমরা দুমুঠো ভালো খাই।


শুনে অবাক মাস্টারমশাইর চোখে অশ্রু আসে,
রচনাটায় শূন্য দেওয়া মুছবে বলে ইরেজারটা খোঁজে,
ফটিককে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে চোখের জলে ভাসে।


এইতো মোদের দেশে উৎসবের হালচাল,
যখন একজন আনন্দ করে পরের ধনে,
তখন আর একজন বসে থাকে ঘরের কোণে।


৫ ই কার্তিক, ১৪২৭,
ইং ২২/১০/২০২০,
বুধবার রাত ১১:৫৫।
একটা ছোট গল্পের অনুকরণে। ১১৬৭, ২৩/১০/২০২০।