যৌথ পরিবার, একসাথেতে সবাই মিলে,
         এক বাড়িতে থাকা;
ঠাকুরদা-ঠাকুরমা, জ্যাঠা-জেঠি, কাকা-কাকি,
          থাকে আনন্দটা পাকা।


এক সাথেতে ওঠা-বসা, এক সাথেতে চলা,
          একই রকম চাওয়া পাওয়া;
আনন্দেতে ভাই বোনেরা সবাই মিলে,
          আসন পেতে একই সাথে খাওয়া।


আত্মায় আত্মায় এমন মিলন,
                             বিভেদ থাকে না মোটে;
নিজের আনন্দ অপরকে দিয়ে,
                            অপার আত্মতৃপ্তি জোটে।


ছোটর প্রতি দায়বদ্ধ বড়রা চিরদিন,
দুঃখ কষ্টে পাশে থাকে, থাকে রাত্রি দিন।
প্রেম প্রীতির এমন বাঁধন, আর পাবেনা কোথা,
একের ব্যথা আরেক বয়, আছে কত গাঁথা।


অসুখ হলে কোলে নিয়ে জ্যাঠা জেঠি কাঁদে,
যৌথ পরিবার, সুখী পরিবার, বলি কি ভাই সাধে?
স্কুলেতে দেওয়া আনা, বাড়ির বয়:জ্যেষ্ঠের কাজ,
যত্ন করে স্নান করানো আহা আনন্দের সেই রাজ।
পড়াশোনা হয় একসাথেতে একই ঘরে বসে,
হাসি ঠাট্টায় জীবন কাটে সুখে দুখের রসে।
আপদ বিপদ এলে পরে সবাই থাকে পাশে,
তরা করে যায় কেটে সব, সবাই আবার হাসে।


এমন হাসি কোথায় পাবে একাকিত্বের ঘরে,
চোখের জলে বুক ভাসবে বন্ধ করে দোরে।
হিংসা দেশের পরিণতি এই ছোট্ট সংসার,
অহংবোধে পুড়ে যাবে তোমার ভালোবাসার ঘর।
একা একা কষ্ট পাবে পাশে রইবে না তো কেউ,
আপন ব্যথায় ডুবে যাবে লাগলে দুঃখের ঢেউ।


পাশ্চাত্যের চিন্তাভাবনা কেন আনছো মনে টেনে?
তারাই দেখো ছুটছে আবার যৌথের সুখ  জেনে।
তবে তোমরা কেন ছাড়বে এই যৌথ সংস্কার,
আনন্দেতে শুধুই থাকার আমাদের যৌথ পরিবার।


২১ শেষ জৈষ্ঠ্য, ১৪২৭,
ইং ০৪/০৬/২০২০,
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা। ১০২৯, ০৬/০৬/২০২০।