ঐ নীলাদ্রী , নক্ষত্ররাজী
কী অপরূপ রুপেমা ছড়ায় !
নিরুদ্দেশের খুঁজে মন
ভেসে যায় দূর নীলিমায় ।
দিগন্তজোড়া সরিষার হাসি
যেন কিষাণির সুখ ঝরে রাশিরাশি ,
প্রজাপতি উড়ে শত রঙ পাখনায়
ওধারে ডাকে আমায় স্বুপন মহুয়ায় ।
বুনোহাঁস দল বেঁধে নামে নদীর বাঁকে
ধান শালিকেরা খাদ্য খুঁজে বেড়ায় ;
কখনও বিরান কখনও সবুজ বন পথে
সারস পাখিরা হাঁটুজলে ধ্যানমগ্ন মাছের আশায়।
ধইঞ্চা দোলে দোলায় শাখায় শাখায়
যেন চপল কিশোরী নূপুর পরা পায়
নৈশব্দে শিশির পড়ে ঘাসের পাতায়
সোনা রোদ যেন মুক্তো ছড়ায়।
কতশত অচেনা জলছাপ পথের ধারে
মিশে আছে মাটির ভাঁজে
আমার দুরন্ত দিনের পদচিহ্ন
হারিয়ে যায় সর্বনাশা ধূলির তলায় !
হেমন্ত ভোরে শিউলী ছড়ানো বেলায়
ফুল কুঁড়িরা ফুল কুড়িয়ে নেয়
সুখ বুনে তারা,রাখে তুলে মনের আলমিরায়
কোনো স্মৃতি ঝরা দিনে চোখ বুলাবে তায়।
ঝিলের ধারে বুনো হাঁসের নীল ডিম
প্রত্যুষে কুড়িয়ে আনে বালিকায় !
আমার স্মৃতির এ্যালবাম আলগোছে
নাড়িয়ে হারিয়ে যায় তারা কোন অজানায় ।
আম কুড়ানোর থাকে তাড়া ব্যস্ত তারা ,
আমারই মত তাদের কাটে অবুঝ বেলা
নদীর কিনারায়
সুখ কুড়াবার তাড়া ,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে যত আছে বুনো হাঁসের পালক
আঁচলে বেঁধে নেয় তারা ।