আমি তো ভালই ছিলাম একলা নিরিবিলি
হঠাৎ চৈতি রাতে তুমি বাজালে বাঁশি ।
সেই উদাস সুরে প্রাণটি গেল উড়ে!


যখন তোমার কাছে প্রাণটি চাইলাম ফিরে
বললে - যাবে আমার সনে ?
-কোথায় ?
বললে , কল্পরাজ্যে !


আমি কল্পরাজ্যের রাজ কুমার
শুনেছি বাঁশিতে তোমার অনুরাগ
তাই বাঁশির সুরে তোমার মনটি
কেড়ে নিলাম ;
চাও যদি আমি তোমার হতাম !


আমায় নেবে ?
বললে হেসে হেসে , নিশ্চয়ই
তাইতো এলাম !


তুমি যদি যেতে চাও তবে
তোমায় পরী হতে হবে !
ওমা ! কেমন করে !
তোমার ইচ্ছে হলেই হবে !


অমনি ইচ্ছে করে আমি হলাম
অপরূপ এক পরী
আমি উড়ি আর উড়ি
রাজ- কুমারের সঙ্গী হয়ে
কল্পরাজ্যে ভিড়িয়ে দিলাম তরী ।


বিশাল বিশাল স্বপ্ন বাগান
গুলে বাকা অলি ;
আহা ! কী অপরূপ গোলাপ কলি
উড়ে কত ই রঙ বেরঙের পরী !


উড়ে কত প্রজাপতি
সবুজ তরু বৃক্ষ রাজি এমন সবুজ
আর দেখিনি !
ফুলগুলি সব চন্দ্রমুখি !
আকাশ সেথায় অনেক কাছে
মেঘের উপর ঘুমোয় সবাই
ছুটোছুটি করে ,
মেঘরাজি ভরদুপুরে
অপার সাদায় সাজে
স্পর্শ ছোয়ায়  যখন তখন
অপরাহ্ণে বর্ণালী রঙ মাখে ।


সূর্য সেথায় নয়তো তেজী
কেবল আলোক ছড়ায়
রাজ কুমার হঠাৎ করে
বুকে এসে জড়ায় ।


নিশিরাতে ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকে
চাঁদের সাথে সবাই তখন হাসে
সন্ধ্যা সাঁজে পরীরা যায় দূরে
যখন বাঁশি বাজে দূরে
হৃদয়  নদীর তীরে ।।
আমিও যে তাদের মত
হারয়ে যাই সুরে।