আমার নিঃশ্বাসে জীবনানন্দ দাশ
বিশ্বাসে কাজি নজরুল
আশ্বাসে শামসুর রাহমান ,
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে রবি ঠাকুর
গুনগুন করে গুনে কবিতার প্রহর ।


আমি এক ক্ষুদ্র বিন্দু কোমল চন্দ্রের
আমার সকল দিকে বাস শত নক্ষত্রের
আমি তাদেরই উত্তরসূরি ;
তাদের সঞ্চিত সম্পদে আমার অংশীদারি।


আমি পথ চলার পাথেয় পেয়েছি তাদের পদমূলে
স্বপ্নের নীল কুঠি বেঁধেছি নীলাদ্রের বুকে
নিগুঢ় ভালোবাসার রাখি বেঁধেছি কুঁড়েঘরে ,
সুনীল সাগর জলে আমার মন ভেসে চলে!


আমি মুক্তির স্বাদ আস্বাদন করি কবিতার ভাঁজে ভাঁজে
শিরদাঁড়া উঁচু করে বজ্রহানার সাহস আমার বক্ষ জুড়ে
ঝঞ্ঝাটকে আমি পদাঘাত করি নির্বিঘ্নে ,
প্রেমের আলোয় উদ্ভাসিত হই নিঃসঙ্কোচে
তবে আমি নষ্ট প্রেমে হই না পথভ্রষ্ট!


আমি কল্পতরুর সারথি
কল্পনার ভেলায় ভেসে বেড়াই
যখন যেথায় খুশি ;
আমার ঝরনার ছন্দে পথ চলা
নদীর সাথে মিলন হয় মোহনায় ,
আমার মন সাজে রবির আবিরে
সবুজ আমার রক্তে মিশে আছে!


চোখ মুদিলে আমি জীবনানন্দের ধানসিঁড়ির তীরে
কিংবা কার্তিকের নবান্নের দেশে হারিয়ে যাই
অদ্ভুত কল্পনার আবেশে ,
এমনই এক আঁতুড় ঘরে জন্ম আমার ;
যেথায় ধানসিঁড়ির মত নদী বয়ে গেছে
আছে কার্তিকের নতুন ধানের সোনালি ঝংকার
আমি তাই ভালোলাগার গভীর আবিরে রঙিন হই ;
বিদগ্ধ কবিদের কবিতা পাঠে ।