আমি মানুষ হলেও পুরোটা মানুষ না!
আমি কখনও নিজেরে চিনি
কখনও নিজের কাছে হই অচেনা ।
আমি যেন এক যাদুর ভেল্কি
হাজার রুপে সাজতে পারি !


আমি কখনও অচেনা পাহাড় নীলা
কখনও সমতলে ক্ষুদ্র বালি কণা,
আমি কখন সবুজ ঘাস
কখনও তার শিশির ফোঁটা
আমি কখনও পাহাড়ি ঝরণা
অবিরাম ছুটে চলা ।


আমি কখনও স্রোতস্বিনী নদী
আমার তরী কখনও ভাসে তীরে
কখনও হারায় নিরুদ্দেশের তরে।
আমি এক সন্যাসিনী, ছন্নছাড়া
জ্যোৎস্না রাতের অমোঘ মায়া
আমায় করে ঘরছাড়া !


আমি কখনও উড়ে বেড়াই মেঘের দলে
কখনও নদীর কূলে ,
আমার স্বপ্নগুলো ইচ্ছে ঘুড়ির মত
উড়ে উড়ে বেড়ায়,
হঠাৎ আবার চুপসে গিয়ে
হাওয়ায় মিশে যায় ,
আমি কখনও লাখপতি
কখনও ঘুমাই ছেঁড়া কাঁথায় ।



আমি আপন বর্ণচোরা
কালবৈশাখীর কৃষ্ণচূড়া।
কখনও আমি জলরাশি
আমি যে পাত্রে থাকি ,
সে রূপ করি চুরি।


আমার মনের নাটাই খুঁজি
তাই যাযাবরের বেশে আমি
এতি উতি ঘুরি !
আমার একই অঙ্গে এত রুপ
সইতে যে না পারি !
মন পেয়েছি নাটাই পাইনি
অদৃশ্য সুতোর টানে;
কে যে আমায় টানে
কেবা তা জানে ।।