ওই উড়ে যায় স্বেত বলাকা


তার পালকেই মুক্তি !
তার কাছে মুক্তির ডানা চেয়ে
আমি করেছি কত আকুতি !
সে বলেছে মেঘের কাছে যাও
তার আছে কিছু বাড়তি ।


আমি মেঘের কাছে গিয়েছি
সে আমায় বলেছে ,
ও-ই দেখো প্রজাপতি
তার কাছেই পেয়ে যাবে
তোমার মুক্তির ডানা দুটি ।


গিয়েছি তারও কাছে
সে আমায় বলেছে
ফুলের কাছে যাও
যা চা'বে তার সব পাবে
কেবল হাত ভরে নাও !


আশা আর দুরাশার দুলে
হাত পাতি ফুুলেদের কাছে
আমার কথা শুনে
ফুলেরা সব হেসে ওঠে
সমস্বরে বলে,

হায় মানুষ!
তুমি জানতেই পারোনি !
ফুলের ডানায় উড়বে তুমি ?
নাকি তোমার ডানায় উড়বে ফুলকলি?
আমরাওতো মনে মনে উড়তেই চেয়েছি !


আমি ছুয়ে দিই পাপড়ি
অমনি হয়ে যায় ডানা
এমনি করে বানালাম
শতখানা
চাও যদি তুমি এসো
নিয়ে যাও দুইখানা
উড়ে যাও যেথা চাও
নেই কোন মানা!


মুক্তির ডানা মেলে
যখন উড়েছি দিগন্ত পাড়ি
বিস্ময় চোখে দেখি
রবি ঠাকুরের  এসে ঘর বেধে
আছেন শতবর্ষ ধরে
ভালোবাসার নীল-পদ্ম
আমি দেখেপছি আকাশ জুড়ে
প্রান্তর ভরা নীলাভ সুখ সেথা
রবি দাদা একা ভোগ করে


আমায় বলেছেন এলেই
যখন তবে বলে কেন যাবে
তোমার মতো আমিও যে মুক্তিই চেয়েছি
আমার মুক্তি তোমার মত ই
এই আকাশে আলোয় আলোয়  !