একদিন এখানে ছিল এক  নদী
তার নাম  ছিল ধ্রুপদী
সেই বইত নিরবধি
তার বুকে ভেসে ভেসে
হরষ সুখের কত মালা গেথেছি!


শরত এলেই আকাশে ফূটতো সাদা মেঘ
মেঘের রঙে কাশবনের দুলতো নিরন্তর  
বাউলের একতারায় বাজতো মাটির সুর!


হেমন্তে তার ছিল অনিন্দ্য রূপ
দুপাশে তার সরষে ফুল স্নিগ্ধ ঝলঝল
তখন আনন্দে আকাশও হত ব্যাকুল!


বরষায় ছিল দুকূল ছাপা জল
সেই জলের ছিল টলমল রূপ
তার প্রমত্তা যৌবনে উছলি উঠত মন।


মাঝির অন্তর জাগতো জলের উচ্ছ্বাস
তার মনে জাগত আকাশ ধরার স্বাদ
তাই মাঝি পাল তুলে হত নিরুদ্দেশ।


ভরা জলের মত প্রেম জাগত বুকে তার
মনের কোণে বাজত নিভৃত সানাই
মিলনের ভাব তাকে করত অধির ।


আমি ছিলাম এক নগণ্য হেম
মনের ভেতরে তা আঁকতাম।


আজ সেই সুখের বাগানে লেগেছে আগুন
পোড়া চোখে আমি তাও দেখলাম,
বুক ফেটে আসে দীর্ঘশ্বাস
নদীটি আজ মৃতপ্রায়
দুকূলে তার কষ্ট বয়ে যায়,
এ দেখে আমার বুক ভেঙে যায়!