হাজার বছর বাঁচিবার ইচ্ছা জাগে
এই বাংলার সবুজ নদী চরে
তারে ভালোবেসে আমি বলে
পড়ে থাকি তার ধুলির আঁচলে।
তারে ভালোবাসি বলে
আমি মরিব তারই কোলে!  


চিকচিক পদ্মার বালি চর-আহা কী অপরুপ
দূর হতে দেখি- শালিক পালক ঝাড়ে ,
বালি মাখি স্নান সারে !
আমার ইচ্ছা  হয় যাই মিশে শালিকের দলে
দেখি সেথা দিগন্ত মিশে গেছে উত্তাল জলে !


আমার স্বপ্নের ডানা মেলিছি দিগন্তে
আমি দিগভ্রান্ত হই
পথ খুঁযে পাই তোমার চরণ তলে
সাগরের নীলে ঊর্মি মালা দোলে ,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যাই শঙ্খচিলের পালে ।


বসন্তে গাছের পাতায় কী মায়া ছড়ানো
দেখি তারে আপন মনে  ;
সবুজ রঙা মায়া মাখি সরব অংগ জুড়ে  
কোকিল মধু স্বরে গান গায় বলে
আমি দুরপথে হেটে যাই
তারে দেখি সংোপনে!


কৃষ্ণচূড়ার ডালে চিড়ল পাতা দুলে
বাউল সাজি মনে মনে
মেঠো পথে গান তুলি আনমনে
এমন মায়াবি রূপে হারাই
কেউ তা পাবে না তা
আমার মত মন না হলে !


বর্ষার কদম লয়ে গান গায় রূপসী কার তরে ?
অধীর হয় চপলা বুঝি স্বর্ণচাঁপার ঘ্রাণে
গুঁজি কর্ণলয়ে স্বর্ণচাঁপা অপেক্ষার প্রহর গুণে
হেমন্ত ভোরে হেটে যায় বহু দুরে তার তরে !


ধানের শিষের শিশিরে ছুঁইয়ে যায় আলতো ভরে
সরিষার রঙ মেখে ফেরে আপনমনে
কচুরিপানার ফুল এনে বিলায় শিশুগণে
শাপলার ফুল তুলি ঝিলের জলে
গোধূলি বেলায় গাঁথে মালা তার স্বপ্ন প্রিয়'র তরে ।