যা পেলাম তাতো ছেড়েই আসতে হল
ভরেছিল যে প্রাণের সরোবর
তা আবার শূন্যতায় হারালো
যা আমার ছিল তা অন্যের হয়ে গেল !


ওই যে ভালবাসার মুক্ত আকাশ
তা এখন বলাকার ,
সেই প্রাচীরহীন পৃথিবীটা রোদ্দুরের
কাদা-জল শাপলা-শালুক এখন বুনোহাঁসের ।


অন্তহীন যে মহাশূন্যটা আমার ছিল
এটি এখন শীত কোয়াশার ,
হৃদয়ের যে প্রান্তর অবমুক্ত করেছিলাম
সূর্যের প্রতাপ ছড়ানো সুখের তরে
সে সূর্য এখন অনাবিল সবুজ  ঘাসের!


সোনালী শীতের সেই প্রান্তরেখায়
যেথায় মানিক জ্বলে তরু-লতায়  
সেখানটা এখন দুরন্ত কিশোরের ;
হেমন্ত আলোক-দীপ্ত হাওর এখন রাখালের!


যে নদীটা আমার ছিলো
এপার থেকে ওপার ভেসে যাবার
উপুড় হয়ে ভেসে থেকে আকাশ চেয়ে দেখার
সে নদীটি এখন কার, আমার ইচ্ছে ছিলো জানার!
জেনে কিবা হবে তাই বন্ধ করেছি কৌতূহলের দ্বার।
    
অবশেষে গিয়েছিলাম   অনিঃশেষ মুগ্ধতা ছড়ানো
আঁধার রাতের তারাদের কাছে,
তারা আমার কথা শুনেনি!


তারা আজ ওই বাঁধন হারাদের ডাকে রাত বিরাতে জাগে,
আমার কথা কেউ জানে না
আমার গল্প কেউ শুনেনি !


তাই আমি প্রচণ্ড অভিমানে ;
জোছনার ভেলায় করে
চেয়েছিলাম ফেরারি হতে !


তার আর সুযোগ হল কই !
এখন আমি নিঃসঙ্গ রাতের সাথে
একলা কথা কই !