কবিতারা মাধবী লতার পাতার ফাঁকে
সবুজ পাতার নূপুর পরে
পাখিদের সাথে নেচে গেয়ে ঢুকে
আমার মনের সরোবরে
সেথায় পদ্মপাতায় নিঃশব্দে
হাজার শব্দের নকশীকাঁথা আঁকে ।


আমার মায়া পড়ে যায় কবিতার 'পরে
এখন কবিতা আর জীবন সমান্তরাল হাঁটে
আমার বুকের মাচার 'পরে
কে জানে কবিতা আমারে লেখে
নাকি আমি তারে লিখি !


প্রকৃতির শতরঞ্জি আমার কবিতার ক্যানভাস
অজুত রঙয়ের প্রজাপতি উড়ে উড়ে আসে
হাজার রঙের তুলি মেঘের ভাঁজে ভাসে
পলকে লুকিয়ে আলোর দ্বীপ জ্বালে
আমি যারে দেখি না সে তারে দেখে।


কবিতারা হেমন্ত ভোরে কুয়াশার ফুল হয়ে
আসে স্নিগ্ধ ঘাসের পাতে মিন্ময়ী রূপে
স্বপ্নের মায়াজাল বুনে দিতে;
নদীর কূলে কূলে ঘাসের 'পরে
কিংবা কাশফুলের নরম শরীরে বসে
চোখ রাখে স্বচ্ছ কালো জলে
পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে ।


সন্ধ্যার মায়াঝালে আড়ষ্ট পৃথিবীর মাঝে
জোনাকের সবুজ-আলো জ্বালে অরণ্য-ধারে
প্রায়শ গগণ মাঝে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে
পৃথিবীর বিম্ভিসার দহন মুছে দিতে
দাঁড়ায় চোখের পাড়ে ;
কল্কাসুন্দা ফুলের বিভাবরী সৌরভ নিয়ে
আমার পরাণের গহীনে মেশে ।


শিউলী তলায় ফুল কুঁড়িদের কাছে
বায়না ধরে মালার তরে ,
বকুলতলার ছায়া সুনিবিড় পথে
মায়াবী ডাহুকের মত হেঁটে চলে যায়
তার প্রেয়সীর চোখে চোখ রেখে ।