আমার ছিল বসবাস
চারিদিকে পাখিরদের উচ্ছ্বাস ;
কাছে দূরে মন জুড়ানো
শিশির সিক্ত ঘাস
ঝিলের জলে ভেসে যেত
রাজহংসী পাতিহাঁস ।
আমার এখন হাঁসফাঁস
বন্ধ হয়ে আসে নিঃশ্বাস
নেই খোলা বাতাসের আকাশ
আকাশ ছোঁয়া ইমারতে
মরে গেছে উড়ার স্বাধ !
এখানে বসন্ত বাতাসে
আসে না মুকুলের ঘ্রাণ
ফুল নেই বাগানে
উড়ে না অলি ফুলে
হাঁটি না ঘাসের পরে
মনের গহন চরে
জাগে না শিহরণ ।
হাওড় ভাসিয়ে উঠে না পূর্ণ চাঁদ
বাজে না বাঁশি ,
উচাটন মন বন্দি বাতায়ন
টলমল জলে ভাসে না নৌকা
শুনি না মাঝির গান !
মন ফিরে যায় সেথা
বসন্ত আগমনে গাছেতে
আদুরে পাতা
উঠোনে মাদুর পাতা
মুখোমুখি বসে কথকতা
জীবনের সমান্তরাল
সুখ দুঃখ গাঁথা ।
এখন আর দেখিনা
তমাল তরু-লতা
দেখি না সর্ষে ফুলে
ভোমরার মাদকতা ।
আজ-কাল আমি ব্যস্ত ভীষণ
হয়েছি শহর বাসি
ইট পাথরের কংক্রিটে
বন্দি খাঁচার পাখি ।
তবু ও আমি অবোধ
গ্রাম্য রয়ে গেছি ।
আজি নস্টালজিয়ায় ভুগি ;
নির্জনে তাই একলা বসে ভাবি ,
সোনার শৈশব ফিরে পাবার
আছে কি কোনো পদ্ধতি ?