তুমি বললে কাছে এসে -
তুমি সন্ধ্যা আকাশের চাঁদ ,তুমি অপরূপা
ভাবছ কলঙ্ক ?
এতে চাঁদের কিছু যায় আসে না ।


আমি বলি - না ,আমি চাঁদ নই
আমি জ্যোৎস্না
আমার গায়ে কলঙ্ক লাগে না ,
আমি ধূলায় লুটিয়ে পড়ি
বুঝি মাটির বেদনা ,
রাতের প্রলাপ ঘোচে যায়
প্রকৃতির রূপ আঁধারে ডোবে না ।


এ ও বললে সহাস্যে - তুমি সাঁঝবাতি
সবুজ অরন্যের জোনাক
নীলাভ কলনাদ ,
অদেখা সুখ স্বর্গের।


আমি বলি ঃ না -আমি নই সাঁঝবাতি
আমি শুকতারা আকাশের
পথিকের সুখ নিশুতি রাতের।
পথো হারার দিশা ,অন্তহীন অভিযাত্রায়
মহাকালের শেষ সীমারেখায় ।


আমায় বললে -'তুমি জল'
তৃষ্ণা মিঠাও তৃষিতের !


আমি বলি ঃ না -আমি নই শুধু জল
আমি নদী
চলি এঁকেবেঁকে অজানায়
চিনে নিই অচেনায় ,
ধরাকে বাঁধি আমি বিনে সুতায় ।


আরো বললে -তুমি ফুল গন্ধ ছড়াও
মালা হয়ে গলায় জড়াও !


ঃনা ,আমি নই শুধু ফুল
আমি ফলবৃক্ষ ,
ছায়ায় মায়ায় ভালবাসায়
গড়ি মহাবিশ্ব।


বললে ফিসফিসিয়ে -তুমি অপ্সরী !
ঃনা -আমি নই অপ্সরী
আমি নারী ,
আমার আঁচলে বসে তুমি বাজাও
সুখের বাঁশরী ।