আমি সেই রাখাল যে বাজাতো বাঁশি ;
স্বপন নদীর পাড়ে ,
সেদিন বাঁশির টানে তুমিও এসেছিলে ,
বলেছিলে স্মিত হেসে ,
পাখিরাও গান থামিয়ে তোমার বাঁশি শুনে !


বললে আরো ,বিস্ময় চোখে মেলে
তোমার গ্রামটি আমার হৃদয় পাগল করে !
এমন যদি হত আমার ঐ ইট পাথরের শহর
তবে বাতায়ন খুলে দেখতাম অষ্টপ্রহর ।


তাই তোমার জন্ম দিনে
আমার গাঁয়ের মাথা উপর থেকে
তুলে দিলাম একটি শুভ্র আকাশ
সেথায় উড়ছে দেখ এক ঘুড়ি মন পবনের
তার গা ঘেঁষে এক নদী বইছে নিরবধি ।
সাথে দিলাম খেয়া পাড়ের তরী
সেই খেয়ার মাঝি ভাটির গান
গাইবে গলা ছাড়ি ।


আছে ফসল ভরা একটি সবুজ প্রান্তর
দখিন হাওয়ায় শীতল ছোঁয়ায়
কোকিল গানে উদাস  যেন হও ।
আরো দিলাম একটি অরণ্য-নিগুঢ় বন
সাঁঝ বেলাতে জোনাক জ্বালে প্রদীপ,
সেই আধো আলো ছায়ায়
নীলাভ আলোর মায়ায়
মন খেয়ালে হারিয়ে যেন যাও ।


একটি পূর্ণিমার রাত-অদ্ভুত মায়ার ফাঁদ
সূর্য ডুবে গেলে চাঁদকে ডেকে নিও
জ্যোৎস্না মুঠি মুঠি সবার তরে
বিলিয়ে তুমি দিও ।


একটা সন্ধ্যা রাত -
নিঃশব্দে শিশির ছোঁয়ায় সিক্ত সবুজ ঘাস
একটি মেঠোপথ পথ -
দুপাশে ছড়ানো মায়াবী কাশবন ,
হেলে দুলে জানায় যেন উষ্ণ সম্ভাষণ ।


আরো দিলাম একটি রাঙা প্রভাত
সূর্যের আলোয় নিকষ-কালো
রাতের আঁধার করে এফোঁড় ওফোঁড় ,
তুমি সেথায় কান পাতলেই শুনতে পাবে
পাখির কিচিরমিচির।


তুমি নেবে তো -আমার এ উপহার?
     বললে  মুক্তো ঝরা ছড়িয়ে হাসি  
এতো কিছু কোথায় রাখি  ?
আমি বললাম , কেন ?
   ছড়িয়ে দেবে শহর জুড়ে !
নতুবা ঝুলিয়ে দিও তোমার ঘরে
সেথায় বসে শুনে নিও সেই রাখালের বাঁশি!