যখন চন্দ্র মল্লিকা ফোটে
আমি তখন ভ্রমর হয়ে যাই
যখন শিউলি ফুল ফুটে
আমি তখন ফুল কুড়িতে হারাই!


যখন প্রজাপতি উড়ে
তিড়িং বিড়িং ঢঙে
আমি তখন বাতাস হয়ে
মিশে যাই প্রজাপতির সঙে!


যখন কোকিল ডাকে একান্তে
আমি তখন মিশে যাই
সবুজ পাতার মনান্তে ।
আলতো করে শিশির মাখি
হৃদয় পাতা নীলান্তে !


যখন তাকাই আকাশ ভরা নীলায়
আমি তখন মিশে যাই
সাদা মেঘের ভেলায়
যখন সাগর জলে চোখ বুলাই
আঁকড়ে ধরি শঙ্খচিলের পাখায়  !


যখন ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকে গুঞ্জরণে
আমি তখন মিশে যাই স্তব্ধ রাতের অংগে
যখন জ্যোৎস্না ভাসে খেয়ায়
সম্মোহনী রূপের থাবায়
হারিয়ে যাই তূড় পাহাড়ের চূড়ায় !


আমি যেন এক শতরূপা
পৃথিবীতে বেঁচে থাকি শত রূপে
কেবলি বদলে যাই এক রূপ হতে অন্যরূপে
এই ধরনী যেন অসীম রূপের এক মানসী
নিসর্গডানায় আমি ভেসে ভেসে চলি !