ঘরের পাশের গাছের ডালে
সাড়ো পাখির নীড়;
সকাল দুপুর বিকেল রাতে
করে চিকির মিকির।
আমার বেশ ভালই লাগে
শুনতে পাখির কূজন;
তবু মনে ইচ্ছে জাগে
হইতে তার স্বজন।
গাছের তলায় একটু বসে
নিরবে তাকিয়ে রই;
আমায় পাখি দেখতে পেলে
করে সে হৈ চৈ।
তার সংসার কাদের নিয়ে
তা জানার বড় স্বাদ;
গাছে উঠতে চাইলে
পাখি করে প্রতিবাদ।
এমন করে কাঠলো ক'দিন
এখন দেখি আড়াল থেকে;
তারাতারি পাখি ফিরে বাসা
ফরিং নিয়ে মুখে।
বুঝলাম আমি পাখির ঘরে
আছে নবীন ছানা;
তাই সে কাতরে কয়
গাছে উঠতে  মানা।
হঠাৎএকদিন শুনতে পেলাম
নতুন পাখির গান;
আমার ভালো লাগছিলো সুর
ভরিয়ে ছিলো প্রাণ।
এমন সময় পাখি এসে
আমায় দেখতে পেলো;
চমকে উঠলো সেই পাখিটা
ঠোটের ফরিং পরে গেলো।
হও, সাবধান!সাবধান!
বুঝি সন্তানদের কয়;
বুঝতে পেলাম আমায় দেখে
পাখি পেয়েছে ভয়।
বুঝতে পেলাম ঘঠনা
তাই বসি আমি দুরে;
তবু পাখি ফরিং নিয়ে
নীড়ে তারাতারি ফিরে।
দু'দিন পরে প্রবল বাতাস
আসলো বড় ঝড়;
ডালের সাথে ভাঙ্গে গেলো
ছোট পাখির ঘর।
আমি ছাতা নিয়ে বের হয়ে
বাইরে এসে দেখি;
কিচির স্বরে সহায্য চেয়ে
ডাকছে দুঃখি পাখি।
ছানা কে ঘরে নিয়ে
উষ্ণে দিলাম রেখে
নির্ভয়ে তাকিয়ে পাখি
এই দৃর্শ্য দেখে।