আয়নার সামনে অনেকদিন পর
নিজেকে দেখলাম।
ঠিকই! আমি অনেক পাল্টে গেছি!
না সেই রুপ, না সেই লাবণ্য!
অনেক পাল্টে গেছি আমি।
অনেক পাল্টে গেছে সময়।
একদিন মুগ্ধ হয়ে আমায় ঘরে তুলে এনেছিলে।
এনেছিলে তোমার সহধর্মিণী করে।
চোখের আড়াল হলেই উতলা হয়ে পড়তে!
কত কথা কত স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তুমি।
সেই স্বপ্নে পাড়ি দিয়েছিলাম আমি তোমার হাত ধরে।
একান্তে যখন কাছে টেনে নিতে,
নিংড়ে দিয়েছি আমার ভালোবাসা তোমার কাছে।
হ্যাঁ! জীবনের চোদ্দটা বছর তোমাকে আপন করে,
তোমার সাথে প্রতিটি পথ চলার স্বপ্ন দেখেছিলাম।
আমি কি ভুল ছিলাম?
তুমি কি ভালবেসেছিলে আমায়? আমার অন্তরকে?
নাকি রুপ আর যৌনতায় আমায় কাছে চেয়েছিলে?


আজকাল তুমি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বল!
পাশের ঘরে একাকি, হাসিতে ফেটে পড়!
কিন্তু আজকাল আমার সাথে কথা বললে
সে হাসি ফিকে হয়ে যায়, কেন?
কাল রাতে, তোমার শার্টে অচেনা সুগন্ধির গন্ধ
আর ছিল লিপস্টিকের উষ্ণ কামনার ছাপ,
যেন অন্য কথা বলে চলেছিল আমার কানে!


আমার কষ্ট এতটুকু হয়নি! বিশ্বাস করো!
মায়া লেগেছিল তোমার প্রতি।
রুপের গোলকধাঁধায় ঘুরে চলেছ ক্রমাগত!
তুমি কি ভালবাসতে জানো?
নাকি তোমার কাছে ভালোবাসা মানে
শুধু শরীর শরীর খেলা আর রুপে মুগ্ধ হওয়া।
ভালোবাসা কি তাই???


আয়না কে ধন্যবাদ,
ধন্যবাদ আমার বর্তমান কে!
চামড়ার ভাঁজে খুঁজে পেলাম
কঠোর সত্যটা।
না আমি! না তুমি!
কেউ কারও যোগ্য কি ছিলাম কখনও?