নিন্দুকেরা হাল ছেড়ে দিয়ে
অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে,
মুখরোচক আলাপচারিতায় ব্যস্ত পথিক;
আড়চোখে পাশ কাটিয়ে দেখে নেয় একবার,
কতটুকু গাঢ় হল অবাধ্য প্রেম।
শুধু তুমিই জানো, আর জানে আমার ঈশ্বর
কতোটা কাছাকাছি বসে আমরা
হৃদয়ের ব্যাকুলতা থামিয়েছি;
নষ্ট হইনি থেমে থেমে বয়ে আসা
উষ্ণ হাওয়ার স্পর্শে-
বুক চিঁরে বেরিয়ে পড়া দীর্ঘশ্বাস,
অহরহ মিশিয়ে দিতাম-
পদতলে পিষ্ট সবুজ ঘাসের বিবর্ণ রঙে।
তারপরই বিচ্ছেদের ঘণ্টা পড়ে
দিগন্তের শেষ মাথায় চিরাচরিত সূর্যাস্তে।
বলা হয় না রাত জেগে সাজানো
কতশত আবেগের অব্যক্ত কথামালা।
সময়ের পাল্কীতে ঘুরে ঘুরে একসময়
ভুলে যাই বিনিদ্র রজনীর অসমাপ্ত প্রেম।
নির্মম ভাবে কেউ কারোর খোঁজ নেইনা;
এতদিন পর মুঠোফোনের বদৌলতে
শুনতে পাই মিহি নিঃশ্বাসের সুর;
ভারিক্কী কণ্ঠে প্রশ্ন করো অযথাই-
আজ থেকে বহু বছর আগে গোধূলি বেলায়
কিছু কথা বাকী রেখেছিলে?