কে রে ঐ উঠোনটাতে দাড়িয়ে
ডাকছিস আমায় অরিণ বলে
এ নামে তো কেবল অপু ডাকত আমাকে
তাও তো সে বছর ত্রিরেশ আগে


দেখি তো মুখটি একটু -চেনা স্বর লাগে
ও তুই  -এতটাকাল পর পড়ল তবে মনে
জানি, এ পথে এসেছিল  ভুলো মনে
আজও কি বড্ড ঘৃণা করিস আমাকে


যাক সে কথা তুই কি আছিস ভালো
কি হয়েছে রে মুখটা কেনো কালো
এই দেখ- কথায় কথায় তোকে বসতে বলি নি
বস এদিকে, একটা সময় তো ছিলি হৃদয় বেদীতে।


ভালো আছিস তো স্বামী সংসার নিয়ে
সেই যে শেষ দেখেছিলুম তোকে বিয়ের পীড়িতে
গায়ে জড়িয়ে লালশাড়ী- লালটুকে বউ বেশে ছিলি
সবার পিছনে ছিলাম আমি দাড়িয়ে -অশ্রুসিক্ত নয়নে


জানিস সেই টেলিফোনের রিংটা আজও বাঁজে মনে
ফোন ধরতেই বলেছিলি পরদিন তোর হবে বিয়ে
বিয়ে তো হয়েছে ত্রিশটা বছর পার হলো
তুই কি আজ সত্যিই আছিস ভালো


নিজের পছন্দেই তো করিছিলি বিয়ে
হয়তো সুখেই আছিস স্বামী-সংসার নিয়ে
তুই ভালো থাকবি এটাই তো আমার চাওয়া
আজও আছি অপেক্ষায় হয় নি তোকে পাওয়া


কতই না  করতি  বকা-ঝকা
তবুও কি পেরেছিলি আটকাতে তোকে নিয়ে ভাবা
ঐ দেখ কতগুলো বই পড়ে আছে
সবগুলোই লিখেছি কেবল তোর জন্যে


বয়স তো আর কম হলো না সবই দেখি ঝাপসা
যেমন ঝাপসা  আমার আর তোর সম্পর্কটা
সত্য করে বলত আগের মতোই কি থাকিস অসুস্থ?
তোর আপন পুরুষ কি করে তোর যত্ন?


এই দেখ করছি কেবল প্রস্ন
এ কিরে তোর চোখে কেন অশ্রু
আজও ঘৃণা করিস
আমি বুঝি তোর শত্রু


দেহটা পড়ে আছে চার দেওয়ালের মাঝে
আজও তোর কথা ভাবি শয়নে-স্বপনে
অই দেখ কবিতা লিখেছি হাজার-দেড়েক
তাতে  লুকিয়ে আছে ৩০টা বছরের আবেগ


তোর কি মনে পড়ে
তোকে দেখার জন্য কত দাঁড়িয়ে থাকতাম সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে
অবশ্য কখনোই হয় নি দেখা
কে জানত প্রথম দেখা এভাবে মনে  দিবে  ব্যাথা


জীবনে অর্জন তো কম করি নি
আজ প্রান্তরে এসেও মনে হয়
সব অর্জনই মেকি
এসবের বিনিময়ে তুই যদি কেবল পাশে থাকতি


কখনোই তো বুঝলি না আমাকে
তা হঠাৎ করে আজ কি মনে
জানতে বড় ইচ্ছে করে
এতটুকু কি জায়গা পেয়েছি তোর মনে


অই দেখ পেয়েছি শতটা পুরুস্কার
জানিস, তার চেয়ে ভালো লাগে
তোর দেওয়া তিরস্কার


মাঝে মাঝে নির্লজ্জ হতে ইচ্ছে করত
তুই পর বধূ  তোকে দেখার সাধ জাগত
তোর বদনাম হবে ভেবে
ও পথে যেতে ভয় লাগত


ভালবাসা গেল অপূর্ণ  রয়ে
তোকে হল না পাওয়া
তোর আমার ভালোবাসা থাকবে কবিতায়
চিরটাকাল এ ধূলির ধরায়।।