অনেক বড় ভাবো যদি জ্ঞানী-গুণী নিজেকে
তোমার মতো্ মুর্খ নাইকো এ দুনিয়ায় এর থেকে।
অন্যের লেখা পুঁথি পড়ে ধার করেছো বিদ্যাপাঠ
জ্ঞানী গুণী পণ্ডিত সেজে বসিয়েছো জ্ঞানের হাট।
চোখ থাকিতে অন্ধ রইলে দেখলে না যা দেখার
আপন আলোয় সিক্ত হতে শিখলে না যা শেখার।
অন্যের আত্মায় ভর করিয়া কী শিখিলে জীবনভর?
ঘরকে ছেড়ে ঘরের বাইরে মেকি তোমার বসতঘর।
প্রকৃতির এই ভুবন জুড়ে পাঠশালা যে জ্ঞানের
এইখানেতেই ঈশ্বর-খোদা, মসজিদ মন্দির ধ্যানের।
কুরাণ-পুরাণ, বেদ-বেদান্ত যতই পড় বেশুমার
সৃষ্টির মাঝেই স্রষ্টা আছেন বুঝবে তুমি কবে আর?
মক্কা-কাবা, গয়া-কাশী যাও না যেথায় চাই
হৃদয়ের চেয়ে মন্দির-কাবা নাইরে কোথাও নাই।
হৃদয়েই তোমার নিত্য প্রকাশ আসল পরিচয়
হৃদয় তোমায় মহৎ করবে ধন্য হবে জগতময়।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ তবু ভেদাভেদ যদি না যাও ভুলে
ধর্ম-কর্ম বিভেদ বাড়ায় চর্ম-চক্ষু না যদি খোলে।
কেন তবে দ্বন্দ্ব এত ভিন্ন তত পথের ধারা?
কোনো কাজেই পুণ্য নয় যে মহৎ উদার হৃদয় ছাড়া।
তোমার সত্য দেখায় যদি তোমার চলার সঠিক পথ
মিথ্যা ছেড়ে পালাবে তোমার দূর হইবে ভ্রান্ত মত্।
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নয়তো আসল পরিচয়
সবার উপরে মানুষ তুমি এর চেয়ে বড় সত্য নয়।
দিনের আলোয় শিখলে সাদা, কালো যেমন অন্ধকার
এইখানেতেই করবে যাহা পাবে যে যার প্রাপ্য তার।
জ্যোৎস্নার আলোয় দূর হয়ে যাক সকল আধাঁর কালো,
জীবন জুড়ে সুর হয়ে থাক আলো আমার আলো।