দুঃখের আবার ব্যথা আছে না কি
আছে না কি কোনো কান্না তার দুচোখে?
আমি একবার দুঃখকেই কাঁদিয়েছিলাম,
কাঁদতে কাঁদতে যখন কান্নার আর বাকি নেই
একটু সুখের জন্য সেও ফরিয়াদির মতো কেমন আনচান
দুবাহু মেলে ছুঁতে চায়, পেতে চায় একটু সুখের পরশ।
দুঃখের যানজট ছেড়ে সেও যেতে চায় সুখের কোনো গহীন অরণ্যে
আমি যেতে দিইনি … … ….
বারো ইণ্চি ফোমের গভীর শয্যায় শুয়ে-বসে যে মেদ জমে উঠেছে
ঝরাতে পারছিলামনা তা কোনোমতেই-
আমার প্রয়োজন ছিল ঘাম, প্রয়োজন ছিল অনুভবের চামড়া
অতঃপর এক চিমটি সুখের বিনিময়ে আমি তাকে আমার করে নিলাম।
এখনও পর্যন্ত চাইলেই বৃষ্টি হয়, গাছের পাতা সবুজ হয়
এখনও পর্যন্ত না চাইলেও ফুল ফোটে, পরগায়ণ হয়
কুয়াশায় শিশির পড়ে কিংবা শীতে পাতা ঝরে
এখন আমার ভেতরে দুই ঋতুর মনোতাণ্ত্রিক দেশ।
বাহিরে আমার লক্ষ তারার রাজ্য, বসন্ত বারোমাস
ভেতরে আমার শ্রাবণের ধারা ছলছল অবিরত
অলখের পাথার বেয়ে নেচে ওঠে আমার দুঃখবন্দী সুখ
আমারই আছে, আমারই কাছে পাড়া-পড়শীর মতো
ততোদিন ওরাই আমার বন্ধু প্রিয় স্বজন,
যতদিন না বনবাসী হবো।