রাতের আকাশে একটা দুটা তারা ভাসে
মেঘের ফাঁকে উকি দিয়ে চাঁদ মামও হাসে
মনটা কেমন জানি করে ওঠে দখিনা বাতাসে


ছেলেটি বসে ছিল আমগাছটার নিচে
তার মোহিনী বাঁশির সুরে মনটা উঠে নেচে
কি বিষাদ ঝরে যেন সেই সুরে
বাঁশির সুর মিলিয়ে যায় দূর বহুদূরে


জানালার ধারে বসে চাঁদের দিকে চেয়ে
মেয়েটি নিরবে চোখের জল ফেলে
ভাবে কি আছে সেই বিষাদময় সুরে


প্রতি রাতে শোনা যায় অদ্ভুত সেই সুর
রাতের অন্ধকারে মিশে চলে যায় বহুদূর
বাঁশি ওয়ালা বাঁশি বাজায় মায়াবী সে সুর
সে কি জানে তার জন্য কেউ হয়েছে ব্যাকুল


মেয়েটির প্রাণে বাজে দুঃখের বাসনা
ছেলেটি কে কোথায় থাকে জানা হলনা
কখনো কি তার সাথে দেখা হবেনা


দূর বহুদূরে ছোট্ট একটি ছেলে
কি জানি শুনতে থাকে খেলাধুলা ফেলে
মাঠে-ঘাটে, বন-বাঁদাড়ে, আকাশ-বাতাস সব কাঁপিয়ে
বাঁশি বাজে যেন আর্তনাদের সুরে


ভেসে যায় সে সুর দূর বহুদুরে
অন্ধকার আছে যত ভরে যাবে সুরে
দূর বহুদূরে আজও সবাই শিনে
ছেলেটির সেই আর্তনাদ রয়ে গেছে সুরে


২৯/০২/২০১২