আমারি তৃষিত-নয়নে সর্বত্র বিরাজমান তুমি,
তোমার লোলুপ-ওষ্ঠ ছুঁ’য়ে দিক আমার বক্ষভূমি।
তোমার উষ্ণ-অতৃপ্ত-রসনা ভেজায়ে দিক মোর বদন,
তোমার কেশের সুবাসে ডুবাইব মুখ করিয়াছি ভজন।
তোমারি দর্শন পাইনি বলে হৃদয়-দর্পণ হইয়াছে চৌচির!
ওগো প্রিয়তমা! ছুঁ’য়ে তো দেখ ক্ষতখানা কতটা গভীর।


আমার একক মনন জুড়িয়া ধ্বনিত তোমারি কণ্ঠস্বর,
আমার নীরস-উরস স্পর্শ করুক তোমারি ললিত-কর।
কোথা আছ লুকায়ে প্রিয় ধাত্রীর কোন্ সে কোণে,
পরিযায়ী-চিত্ত খুঁজিয়া মরিছে মরু-কানন-বনে।
আমার ব্যাকুল-স্পৃহা সব সঁপিয়াছি আজ তোমাতে,
আজি তবে জলদ-বারি হ’য়ে ঝর-অঝোরে আমাতে।


দিনমান তোমায় জপিয়াছি কাতর-উদ্বিগ্ন-স্বরে,
অশ্রু-নহর দু’চোখে বহিছে তমসা-যামিনী ভ’রে।
পথ ভুলিয়া কভু তো এসো হে চিরচেনা এই পথে,
পরিশ্রান্ত চরণদ্বয় প্রতীক্ষিত হাঁটিবে তোমারি রথে।
কাতর-হিয়া গুনিতেছে প্রহর তোমারি সরণি চেয়ে,
ভাঙিয়া সব প্রথা-অনিয়ম এসো প্রিয় আমাতে ধেয়ে।