আমি আজ তলিয়ে গিয়েছি অকৃতজ্ঞদের ভিড়ে,
জেনে গিয়েছি সকলেই পরিপূর্ণ, কেবল অর্থকে ঘিরে।
আমার তরী-ভরাডুবি হইল, ভালোবাসিয়া যাহাকে দিলেম ঠাঁই!
তড়িৎ-গতিতে আঘাত হেনেই, স্বকীয়-কণ্ঠে বলিল কী করেছিস ছাই!
স্বীয়-স্বার্থে আহ্বান জানাতো কত না মেকি ছদ্মনাম ধ’রে,
স্বকার্য পূর্ণ হ’লেই অজুহাতে যেত ক্রমশ দূরে সরে।
এ-পদযুগল আজ ক্লান্ত-ভারী, যাহার লাগি হাঁটিয়াছি বহুদূর,
অচিরেই হাত ছুটে পালালো সে! স্বার্থের-অবনী আর কতদূর?
অনাহারে কাটিয়ে দিবস-রজনী, যাহার মুখে তু’লে দিলেম অন্ন,
দুঃখ মুছিতেই হিংস্র হইল সে; আমায় করিল হায় বন্য।
যাহার লাগি ডুবিলাম জলে, সে পালালো জল দেখে ভয়ে,
তবে কাহাকে লালিত করিলাম অন্তরে; এ-জীবন ক’রে ক্ষয়ে।
প্রতিদান কভু চাহিনি আমি, চাহিনি কভু শুনিতে ঢের প্রশংসনীয়-ধ্বনি,
চাহিয়াছি কেবল তোমরাও বোঝো, আমিও মানুষ এইটুকু খানি।