কে তুমি হে মহান নেতা!
উঠিয়া মঞ্চে কহিছ আষাঢ়ে গল্পের কথা।
দিয়াছ বাণী রহিবে না গ্লানি মু’ছে যাবে মোদের সব দুঃখ;
ভোরের আলোয় তোমায় দেখন আর কি মোদের শক্য।


শান্তির-বাণী দিয়ে সভায় সেই তোমরাই ছড়ায়েছ ত্রাস!
তোমরা অবয়বেই কেবল মানব ভেতর হায়নার বাস!
অনাহারের খাবার কাড়িয়া দিয়াছ তুমি ত্রাণ!
একের আহার অধিককে বাটো সেই তুমিও না কি মহান।
কাঠের-চশমা চোখে দিয়া করিছ সমস্যা নিরসন;
অন্যের জায়গা দখল করিয়া করিছ পুনর্বাসন।
মজলিস পাতিলে তুমি করিবে বলিয়া ন্যায়-বিচার;
তবে কেন মজলুমের বিপক্ষে রায় দিয়া করিলে অবিচার।
চোরকে তুমি সাধু সাজাও সাধুর মাথায় ঢালো ঘোল!
তোমার কেবল কড়ি চাই আরো চাই রুই-কাতলার ঝোল।
বহুতো করিলে কদর্য-কর্ম আর কত করিবে তুমি?
তোমার কৃতকর্মে নীরবে কাঁদিছে স্বাধীন-স্বদেশ-ভূমি।


‘ধরাকে তুমি করিছ সরা জ্ঞান’ তোমায় ছুঁইবে কে?
“আরশে আযীমের অধিপতি” যিনি তোমায় দেখছেন হে।
চুপ ক’রে সহিয়াছি, যা করিছ তুমি, করিয়া নেও এই ধরায়;
তোমার বিচার, “সর্বশক্তিমান” করিবে তাঁহার কাঠগড়ায়।