কর্ম ক’রেছি প্রাপ্য দিবি, তোর ভিক্ষে তুই রাখ্!
তবুও কেন এত গড়িমসি, কেন এত হাঁকডাক!
মুনাফার ভাগ কবে দিলি বল্ আমাদের তরে?
তবে কেন লোকসান চাপিয়ে দিলি মাথার ’পরে?
নিশীথে যবে বাড়ি ফিরি মোরা, কাঁদে কি তোদের প্রাণ?
আজি কেন এত হায়-হুতাশ, কেন নব-বাহানার গান।
রক্ত জড়িয়ে ক’রেছি পানি, নই তোর কেনা গোলাম!
চোখ রাঙিয়ে কেন কটুকথা বলিস, মুখে দে তুই লাগাম!
তোর দালানের ইট-পাথর জানে, মোদের অপরিহার্য-ঋণ,
ক্রমশ তুই হ’য়েছিস হিংস্র-দানব, বাড়ছে যতই দিন।
ঈশ্বর তোর হ’তে রয়েছে দূরে, শয়তান তোর সঙ্গী!
দামী বসনে জড়িয়ে নিজেকে ধ’রেছিস মানবের ভঙ্গি!
কে তুই মালিক, কে তুই মহাজন, তুই খোদার বিশেষ-সৃষ্টি?
দেখিস কেন ছোট ক’রে মোদের, কেন থাকে ভ্রুকুঞ্চন-দৃষ্টি?
শ্রমিকবিহীন অচল এ’ ধরা এ-কথা নে শু’নে;
কর্ম ক’রেছি প্রাপ্য দিবি, নেব হিসেব গুনে।