আষাঢ়ের নীরদে ভাসিয়ে ভেলা চল হই নিখোঁজ,
দোয়েল-পাখি শিস দিয়ে বেড়াবে বর্ষা হ’বে রোজ।
জল মেশানো শীতল-বায়ু মাখিব তোমার গায়ে,
স্বপ্নরাজ্য দেব পাড়ি দু’জন ময়ূরপঙ্খী নায়ে।


সদ্য ফোটা শাপলা তু’লে, দেব মালা তোমার গলে,
সঙ্গী তোমার হ’বে পানকৌড়ি লুকা’বে অতল জলে।
দু’হাত ভ’রে শালুক তু’লে, দেব তোমার আঁচল ভ’রে,
আদুল-পায়ে হাঁটব দু’জন যোজন-বর্ষ ধ’রে।


গোলেপাতার বনে নেব ছায়া গাইবে মাছরাঙ্গা গান,
হিমেল-হাওয়ার-পরশে কাতর হইবে তোমার প্রাণ।
মেঘলা-আকাশ হইবে কালো ঝরিবে-অঝোর ধারায়,
আড়ালে ডাকিবে ময়না-শালিক তোমার মিষ্টি কথায়।


গুরুগুরু মেঘের ডাকে সহসা যদি লাগে মনে ভয়,
প্রণয়-আলিঙ্গনে বাঁধিব বুকে চির-অম্লান নির্ভয়।
মুষলধারে ঝরিবে-বারি, জ্বলিবে বিজলী-বাতি,
তোমারি প্রেমে হ’য়েছি বিলীন তোমাতে আরতি।


কুসুম-কানন-মাঠ ছাড়িয়ে মোরা ছু’টে যাব বহুদূরে,
অলীক-স্বপনে রঙ মাখাব, গাহিব গান এ কি সুরে।
এমন ক’রেই কাটিবে ক্ষণ, অনন্ত-দিবস-রজনী,
আনন্দ-বেদনায় থাকিও পাশে মায়ায় বাঁধিও সজনী।