প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে
রুক্ষ্ণ মরীচিকারা বসত করে আসছে অনাবৃত বক্ষে
নিচ্ছিদ্র পাহারায় যেন আগলে আছে যক্ষের ধন,
হৃদয় অতলান্তে সারাক্ষণ কাঁদছে শ্রমণ রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষায়
কখন আসবে বান- প্রলয়ঙ্করী তুফান
কখন মুক্তি পাবে কবিতারা, বাজবে বাঁশরী- সোঁদাকণ্ঠী গান!


কোন সন্দেহ নাই তুমিও পুড়ছো নিঃসঙ্গ কাল- গুপ্ত দহনে
ঘুরছো শহর-গ্রাম, মাঠ প্রান্তর- উদাসী চরণে; অতৃপ্ত মনে
ধুঁকছো দিন- দিনান্ত প্রহর, সব জেনে শুনে নির্লিপ্ত আমি
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারিনি কুসুম আলো- রুধির অক্ষর!


এভাবেই বেড়েছে পাথরের পর পাথরের স্তবক,ধুলোর আস্তরণ
কল কল ধ্বনির বদলে বেজেছে অগ্নিশর্মা, রুদ্ধ খরা ভীষণ।
এভাবে কিছু স্বপ্ন হারিয়েছে পথ
কিছু প্রত্যয়, কিছু শপথ ভেঙ্গেছে দুর্বিনীত আঘাতে;
চক্রাকারে বেড়েছে বৃত্ত, তীর্থের পথ ছেড়ে রিক্ত প্রেমিক
আপন চোখে দেখে গেছে জীবনের নীরব অধঃপতন!


দা উ দু ল  ই স লা ম