সুন্দর সতত, অষ্টাদশী যুবতীর মত
ঘুঙুর পায়ে ভোরের শিশিরেরা নৃত্যরত।
পূর্বাকাশে সূর্যের শশী, রক্তিম ঠোঁটের দুষ্ট হাসি
নিদ্রা ভঙ্গুর পাখির গানে পুলকিত প্রেয়সী।
রাতের সুধায় তৃপ্ত সবুজ, শিশির স্নানে সিক্ত
যদিও; যৌবনের মৌবনে তখনো আন্দোলিত চিত্ত!


শিশির খুঁজে উত্তাপ
খুঁজে খুঁজে বুঝে যায় যুবতী মনের সন্তাপ!
উদাসী মনে গুন গুন গানে নিমগ্ন সুরকার,
ছন্দ হারা অন্তর জানে গোপন চুম্বনের হাহাকার।
বুকের অন্দরে প্রভাতী বেলার দীপ্ত অঙ্গীকার
নয়নে তার স্বপ্ন আঁকা, কবেকার সুপ্ত অহংকার;
বারে বারে ডেকে আনে প্রলয়ের অন্ধকার।


আজ যে পুণ্যবতী অপ্সরা মেনকার রূপ গুনে
ভোরের শিশির জানে, পুড়েছে সে রাবণের নয়নে!
সাধ্য কি তার? সেই আগুন নেভাবার......


দাউদুল ইসলাম
১৩/১/১৬