হিংস্র পশু হায়
বিশ্বের মানুষ মেতেছে আজ ধ্বংসের লেলিহায়
মমতা ছেড়ে জ্বলছে তারা হিংসার জড়তায়।
দেশে দেশে কত মেতেছে অবিরত রক্ত গঙ্গায়
জাতিতে জাতিতে খেলছে হায়- ধ্বংসাত্মক খেলায়।
স্বার্থলোভাতুরদের কটু উসকানির, নিবিড় ছায়ায়
কলস্বরে দেখে কিছু জনে মৃত্যুখেলা- কটাক্ষায়।
লেগেছে, লাগুক আরো। জ্বলুক সব ধ্বংসের শিখায়
বিশ্ব আজ মুমূর্ষু অবস্থায়; কেবা দেখে হিংস্র ধারায়।


আর্তনাদে রত
আর্তচিৎকার! কত জনের বাঁচার আকুতি কত
কত লাশ পড়ে থাকে, নির্দয় যুদ্ধমাঠে- শত শত!
জ্বলে ছারখার হয় প্রেমমহল, চিকিৎসালয়, শিক্ষাঙ্গন যত
কোমল শিশুর মৃত্যু! নির্যাতিত নারী! বিকলাঙ্গের চিৎকার অবিরত।
হানাহানি! রক্তবন্যা! লক্ষ লক্ষ প্রাণীর মৃত্যুস্তূপের আহুত
আহাজারি লোকালয়ের! লোহিত মৃত্যুরণে অজস্র হতাহত!
শুধু একটি সুরের গান শুনি আজ- অবিরাম ক্রন্দন
সমস্ত পৃথিবীটা হয়ে উঠেছে- একটি সমাধি স্থান।


নিষ্ঠুর মানুষ
এই পৃথিবীতে নেই কোনো স্নেহ-ভালোবাসা, বন্ধুত্ব আজ
সমস্ত মানুষ একে অন্যের মৃত্যুথাবা, দীর্ঘ নিঃশ্বাস।
আজিকার ভোরের আলো, স্নিগ্ধময়ী চাঁদ, হিম বাতাস, নীলাকাশ হায়
ওরাই দানিয়াছে নাকি কবিপ্রাণ, শিশুর কোমলতা, নারীর হৃদয়!
আমি বলি, ওদের সুনির্মল পরিবেশ দিয়েছে গড়িতে- ধ্বংসাস্ত্রালয়
মারণাস্ত্রের ঘ্রাণে নেই কোনো স্নিগ্ধতার আশ্বাস- শান্তিহীন এ ধরায়।
সবকিছুকে মনে হয় আজ বিষাক্ত ভাইরাস
বিশ্বের দরবারে; ইহা-ই ধ্বংসের পূর্বাভাস।


                                                  ২৮-০৭-০৬, কাফরুল, ঢাকা।