হঠাৎ অতীত


এক জোড়া বন্ধু মোর এসেছিল ঘরে
দুখানা রমণী ঝুলে ছিল হাত ধরে ।
অবয়বে টান মেরে যৌবন কোঠায়
যুগল হাসি ঢেলে পশ্চাৎ পাতায় ।  


পশ্চাতে ছিল যেথা কেশের পলাশ
আজ সেথা দৃশ্যমান মলিন বিলাস।
ঝাঁজালো মুখশ্রীর যৌবনা সাথী,
ওজনের পশরা নিয়ে স্ফীত রাতারাতি ।


লাজুক দৃষ্টি বহর সিন্দুকে এঁটে
চিৎকার ফুর্তিতে পরেছিল ফেটে ।
আসহায় বন্ধুবর স্ফীত ঠোঁটে
সায় দিলো ত্রিতালে ভীত অকপটে ।


গাল ভরা অতীতের আনন্দ ক্ষণ
মুহূর্তে সুখ ছুঁয়ে ভরেছিল মন ।
বিদ্যুতের গতিতে অতিতে যাওয়া
হারানো যাত্রা পথ ফের খুজে পাওয়া ।


প্রকাশ আবরণে গণনা জটিল
পেট ফাটে অন্তরে, ঠোঁটে আঁটা খীল,
নীরবে ব্যাক্ত ছিল গোপন অতীত
খানিক উচ্চারিত খানিকটা পতিত।


অতীতের খেলাঘরে ছিলাম সবাই
নুতন যাত্রা পথে কেউ সাথে নাই!  
ভিন্ন দেয়ালে গাঁথা সকলের ঘর
ঝাপসা প্রমোদ দোলায় হারানো বাসর।


স্বার্থের তরী যোগে, সময় ফালি চীরে
অতীত বর্তমান ছুঁয়ে জীবন চলেছে ধীরে
কৈশোর বসন্ত ছিঁড়ে পড়ন্ত বেলায়,
বন্ধুবর মেতেছিলাম সৃতিয়ে খেলায় ।