আপন মনে ঘুমিয়ে আছি আমি
নিভৃত নির্জন চারিধার।
ঝিঁঝিঁ পোকায় ভর্তি চতুর্দিক,
পেঁচার আওয়াজ হচ্ছে বারংবার।

চারদিকেতে ঘুটঘুটে এক কালো
মনে হচ্ছে অমাবস্যার নিশি।
স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে বাতাস বুঝি,
কোনো কিছুই পাইনা আমি দিশি।

মাথার ওপর ওই যে বিশাল আকাশ,
দেখছে বুঝি আমায় এক মনে
শয়ন কক্ষে শায়িত আছি আমি,
অচেনা আমি আমার নিকেতনে।

মনে হচ্ছে শূন্য চতুর্দিক-
নেই কোথাও একটিও জনপ্রাণী।
ঘুমের সুধা কেউ দিয়াছে ঢালি,
লুটায় তাতে এই ধরাধাম খানি।

অস্ফূট এক সাদা লালের আভা
একটু করেই হচ্ছে নিশি ভোর।
মলিন তলে লুটিয়ে দেহখানি
কাটেনি তবু একটুও ঘুম ঘোর।

ঘুলঘুলিতে সূয্যি মামার উঁকি
নেত্র খোলে প্রবল আলোর ভারে
ঘুমের দৈত্য ঠিক যেন দেয় ছুট
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে।