ভূমিষ্ট হয়ে পৃথিবীতে তুমি
যেই না ছড়ালে আলো,
জন্ম দিলো মা যে তোমার।
তবুও নারী কালো?
বাল্যকালের সাথী সে যে,
ছোট্টো তোমার বোন।
ঘরটিকে সে মাতিয়ে রাখে
কেবল সারাটি ক্ষণ।
শান্ত শিষ্ট স্বভাব তাহার
ঘরকে করে আলো।
তবুও বলো নারী জাতি,
মোটেই তো নয় ভালো?
মাথায় তোমার হাত বুলিয়ে
গল্পঃ শুনিয়ে ঘুম যে পাড়ায়
দাদুভাই,বলে সে যে
সারাটা দিন চোখে হারায়।
ঠাম্মি তোমার, তার সাথেতেই
সারাজীবন সুখে ভরো।
তবুও তুমি নারী জাতির
কেবলই বদনাম করো?
নিজের বাড়ি ছেড়ে নারী
চলে আসে তোমার ঘরে।
পুরুষ বলে পরিচয় দাও
দাম্ভিকতা, গায়ের জোরে।
পৌরুষতায় ভর্তি তোমার,
সত্যি তুমি পুরুষ বটে।
কেমন তুমি পুরুষ জাতি?
স্বভাবে তা স্পষ্ট ফোটে।
দাওনা তাদের স্বাধীনতা
বন্দী রাখো ঘরের কোণে।
চারদিকেতে বেড়াও ঘুরে
জীবন কাটাও আপন মনে।
নারী জাতি দেখলে পরে
লোলুপ চোখের দৃষ্টি ফেরো।
আপন বোন, আপন মাতা
এদেরেই কেবল রেহাই করো।
যাদের ওপর তুমি এমন
লোলুপ চোখের দৃষ্টি ফেরাও,
তারাও কারোর বোন বা মাতা
কেনো নিজের বিবেক হারাও?
তারাও নেয় অস্ত্র তুলে
অন্যায়েতে পড়ে ভারী।
দেবী শক্তি তাদের ভিতর
দুর্গা রূপী সে যে নারী।
নারী তোমার আপন মাতা
নারী তোমার আপন বোন।
ঠাম্মি সে যে নারী ওগো,
নারী তোমার, আপন জন।