সাদা আকাশ , পৃষ্ঠা ভরা মুদ্রণ
একটি বিলীয়মান সীমানায়
             উজ্জ্বল গর্ভবতী কবি-
          প্রচ্ছদে , বৃষ্টি রঙে ঝরে ।


বেপরোয়া চারপাশ , স্বাধীন অন্ধকার
          মূখ্য ভূমিকায় রাত্রি-নদী-নারী
কবিতা প্রসবের ছন্দ খোঁজে একাকীত্বে ।


ডুবন্ত নীচে , জল থেকে মৃত্তিকা
কাব্যিক ড্রেজিং পরিনত হয়
                 নিচ্ছিদ্র পদ্য জলাশয়


আর মনের কোণে প্রসারিত সব
সম্ভাবনার কবিতারা নিরবে কাছে আসে
কাব্য বৃক্ষ, সাহসী ছায়ার গভীর ছড়াকারে ।


আমি সমতলে দাঁড়িয়ে দীপ্ত বিনোদন
ছুড়ে দেই , জলের প্যাচানো ধোঁয়ায়
খুঁজে পাই আমি কবিতা লেখার সূত্র ।


যখন বৃষ্টি পড়ে
কবিতার ত্বকে কূয়াশা তৈরি হয়
ধোঁয়াটে গন্ধ কে কাব্য মনে হয় ।


মেঘমালার মেঘের মধ্যে , উড়ন্ত বৃষ্টি,
নূপুর পায়ে চঞ্চল শিশু নটোবর ;
অনুপ্রেরণার জলোচ্ছ্বাস
অনুভূতির বিন্দু জলের মহাসমুদ্র ,
কবিতারা হেসে ওঠে ঠোঁটের সহস্র রেখায় ।


অনাবৃত জলো-স্রোতে
শিল্পকর্ম-কবিতারা তরঙ্গ জন্মায়
               কাব্য ত্বক ধুইয়ে দিয়ে ।


তাই ,
কবিতার দ্বারা কবি গর্ভবতী -
             হয়ে যায় । বুদবুদ প্রবাহে ।
কল্পনায় বেড়ে ওঠে দু-হাত এক করে ,
                         কবিতা সহবাসে
গভীর রহস্যে প্রকাশ পায় কল্পতরু  লাইন
আর , অজানা মেঘ পরিচিত হতে
ছুটে আসে কাব্য আলোর ঝুড়ি নিয়ে ।


আমি জীবন যন্ত্রণায়
জীবন্ত সূত্রে ভেসে ওঠি একাকারে
প্রাচীন স্মৃতি নিয়ে পুনর্জন্মের নদীতে ।


।। একটি কাব্যিক পুনর্জন্ম ।।
দেবজ্যোতিকাজল