বিশুকাকার একটা বড়' পছন্দসই রসিকতা ছিল,
মাঝে সাঝেই জায়গায় আজায়গায় বলে ফেলতেন -
    কেউ শুনছে কিনা, বিশেষ তোয়াক্কা করতেন না।
" ভাগ্যবানের বউ মরে আর ভাগ্যহীনের ঘোড়া "-
আর নিজের রসিকতায় প্রচুর হাসতেন।


বিশুকাকার ভাগ্যের মরচে ধরা তালা খুলতে একটু দেরী হলো।
রোগভোগা রক্তাল্পতাগ্রস্তা মিনতি কাকিমা যখন
শাঁখা সিন্দুর অক্ষয় রেখে মধ্যবিত্তদের স্বর্গে গেলেন ,
বিশুকাকার তখন ভাগ্যের ঘরের চারদিকে মাকড়সার জাল ,
আর বয়েসটাও চল্লিশের ভুল দিকে।
তারওপর চাকরীটাও বাঁহাতি রোজগার রহিত কেরানীর।
তাই ওনার  হাতে মাকু ধরিয়ে ভ্যা করানোর আগ্রহ ,
কোনো শাশুড়ীই দেখালেন না।


সংসার পড়ল মুখ থুবড়ে-
মিনতি কাকিমা যে মন্ত্রে এই অল্প আয়ে সংসারটা চালাতেন,
সেটা শিখে নেওয়া হয়নি বিশুকাকার ,
তাই নুন আর পান্তা প্রায়ই একসাথে ফুরোতে শুরু করলো।
বাবা থাকতেও বিশুকাকার সন্তানদের অনাথের মত দেখতে লাগত।
বিশুকাকা বুঝলেন একটু দেরীতে ,
তার বউ নয় ঘোড়া মারা গিয়েছে।