দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অধ্যক্ষ (অবঃ)
         তাং৩০/১০/২০২০ইং


জমিদারের শাসন কালে
শাসক শ্রেণী সুকৌশলে
প্রজা পীড়ন করতেন নানান ভাবে।
খাঁজনার টাকা উঁশুল করতে
গায়ে খাটাতো বিভিন্ন শর্তে
শোধ না হলে " মাল ক্রোকে " দেবে।


কখনো কখনো টাকার জন্য
পুরঃ নারীদের খাঁজনায় গণ্য
বেঁধে আনতো লেঠেল সর্দার দিয়ে।
নামেই জমি  সম্পদ প্রজার
মূল মালিক স্বয়ং গদাধর
বছরান্তে গোমস্তা আসতেন ' ঢোলশহরত ' 'নিয়ে ।


ঢাকের ছিল ' ডান ' ও' বাঁয়া '
ডানে কাঠি বাঁয়ে তার ছায়া
ঢিম ঢিম, ডিঢিম, ডিঢিম খাঁজনার তাড়া।
কাঠির তালে,  তাল রফাতে
'বাঁয়া ' বজতো আস্তে আস্তে
নায়েবের পিছে যেমন পেঁয়াদারা দেয় সাড়া।


তোষামোদী যত গ্রামের মাদবর
জমিদারের দত্ত " শিকদার হালদার ''
উপাধিতে তারা ঢাকের বাঁয়ায় তাল দেয়।
বৃটিশ আমলের তল্পিবাহক
স্বল্পে তুষ্ট এই "বাঁয়ার "বাদক
স্বাধীনতা (১৯৪৭) আনতে বিলম্ব বেশি হয়।


একাত্তরের মুক্তির যুদ্ধ
আপামর জনতা করে আরব্ধ
" পাকি " র সাথে ঢাকের "বায়ার " চোটে । দেশোদ্রোহি রাজাকার
"  তালি " মিলিয়ে বারংবার
তিরিশ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম লোটে।


ঢাকের বাঁয়ায় মিলিয়ে তালি
জাতির স্বার্থে  জলাঞ্জলি
দিয়েছে, আর দেওয়াই স্বভাব যাদের ।
তবে,  ওই " গুরুপের " দিন শেষ
দেশপ্রেমিক জনতা  বিশেষ
একাট্টা হয়েছে "বাঁয়া তালি " উচ্ছেদের।