আবার
দেবপ্রসাদ জানা


অনেক দিনতো গেল মন যুদ্ধে
এসো আজ আবার হারিয়ে যাই
সেই অচিনপুরে।
যেখানে পাবো না ভাবনার সময়।
নিজেকে নিজের মতো করে,গুছিয়ে নিয়ে
উন্মুক্ত সবুজ ময়দানে,ছুটির মেজাজে
স্মৃতি জেগে ওঠবে নতুন করে ।
সাগর পেরিয়ে,আকাশের নিচে -
দেখব,কোমর পেঁচানো শাড়িটা বাঁ হাতে
সামলে নিচ্ছে গৃহবধু।
পড়ে যাওয়া আঁচল খানা বার বার
তুলে নিচ্ছে কাঁধে।
অদ্ভূত জীবন-তাই না?
কাঠের আগুনে কালো হাঁড়ির ভেতরে
ফুটে ওঠা মোটা চালের ভাত,কিলবিল
করে উঠছে ওপরের দিকে।
খড়ে আঁটি বেঁধে মাথায় নিয়ে গাঁয়ের বধু,
মেঠো পথ ধরে চলেছে।
মন চায় মনের খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে যেতে।
উড়তে উড়তে মুক্ত পাখির মত,দূর আকাশে
মেঘের আড়ালে হারিয়ে যেতে-
চলো না আবার একবার হারিয়ে যাই
আরেকটা গোপন কোনো স্থানে,
তুমি আমি দুজনে নীল সমুদ্রের ধারে,
নয়তো সবুজ ঘন আমাজনে-
নয়তো পাহাড় ঘেরা কোনো ছোট্ট গ্রামে,
সময়,খুঁজে বেড়াক সময়ের ফাঁকে
নির্জন নিরালায় বসে,ভাবনায়
ক্লান্ত পাখির মতো,শ্রান্ত পরিশ্রান্ত
অন্যমনস্ক উদাসী নয়নে খুঁজুক আমাদের।
শামুকের মতো নিজেদের গুটিয়ে,
সংসারী আদরে খোলশে ভরেনি আবার।
এত বন্দীদশা ভালো লাগে না আর,
তোমাকে সেই তোমার মতো করে,
একটু একটু ভালোবাসার বীজ বপন করি
তোমার শরীরে।