একবার নেমেছিলে
  
বনগাঁ লাইনের ট্রেনের মতো সেদিন বেলঘোড়িয়ায়
কৃষ্ণ নগর না রানাঘাট এসে থেমেছিল ।
দারুন ভিড়।
খুব গরম।
সারাদিন তীব্র দাবদাহে
তোমার জন্য
স্টেশনে -
প্লাটফর্মের ভিখারি গুলো
মাছির মতো -
উৎপাত  করছিল তারা।
ছোট-খাটো রাজনীতিক পার্টি
কি একটা দাবী নিয়ে
হুংকার দিচ্ছিল।
শ্লোগান।  
তবু আমি তোমার অপেক্ষায়।
বড় কষ্ট হচ্ছিল।
পিপাসা -
একটু জল চাই।
ষ্টেশনের কলটা দিয়ে
অনবরত জল পড়ে যাচ্ছে !
বন্ধ কেউ করছে না।
আজ কাল আমরা কলের জল
আঁচলা ভরে খাই না।
দুপুরে দোকান গুলো অর্ধবন্ধ।
তুমি আসবে কিনা জানা ছিল না।
তবু অপেক্ষায় আছি।
তাসের আড্ডার লোক ফিরে গেলো ঘরে।
প্রচন্ড গরম।
জল ব্যবসায় দারুণ লাভ।
কড়িটাকা লিটার।
দশ বছর পরে ওটা কড়ি গুন দশ হবে।
তাতে কি?
পড়ে যাক জল আমাদের কি?
মাটির তলায় জল ফুরিয়ে যাক।
আমরা কি আর থাকবো?
এই রে -
তুমি বোধ হয় চলে গেছো।
কলটা -
এবার নৈহাটী এলো -
সারাদিন নিপাত যাক, জিন্দাবাদ ।
পৃথিবীর ধ্বংস চাই।
জল নিঃশেষ করে,
আগামী প্রজন্মকে
শেষ করা চাই।
কানে যেন এই শুনলাম।
ভদ্রশান্ত  কয়েকটি লোক
গাছ নিয়ে বেফাঁস কথা বলে ফেলল।
কি মারটাই না মারলে।
গাছ বসাতে হবে।
বৃষ্টি চাই।
পাশের লোকটা কোনো
স্বরচিত কবিতা -  
কী করি বলো দেখি,
যদি সারাদিন বৃষ্টি হতো।
সারাদিন আকাশের অন্ধকার বর্ষণ।
সারাদিন
হৃদয়ে অক্ষরভরা
  
======