ভাবছি একটা রাজ্য কিনে ফেলি-
যেখানে অনেক ভিখারী থাকবে।
ফুটপাত এ
মন্দিরে
রেল স্টেশনে
দাম ও কম পড়বে -
সেখানে চপ শিল্প করবো
ঘরে ঘরে চপ
নানান রকম চপ
আমের চপ
জামের চপ
মোচার চপ
কুমড়োর চপ
আলুর চপ তো থাকবেই-
সবার দুতলা বাড়ি হবে।
জাপানে ফোন শিল্পের মতো
চপ শিল্প -
সেখানে রাস্তার ধারে অনেক গাছ বসাব -
গাছ বড় হবে,তার তলায় চপের দোকান হবে।
গাছে কেউ অ্যাসিড ঢেলে মারবে না।
সেখানে একটা বাচ্চা হলে দশটা গাছ লাগাতে হবে -
তাদের ভাগের অক্সিজেন, তাদের কেই জোগাড় করতে হবে -
অন্যের লাগানো গাছের অক্সিজেন নেওয়া যাবে না।
বাচ্চা হবে চপ শিল্প হবে - একটা বাচ্চা একটা শিল্প
যার বাচ্চা তাকেই ভবিষ্যৎ গড়তে হবে।
ক্লাবে পূজোতে টাকা না দিয়ে
পথের খেতে না পাওয়া মানুষদের দেবো।
তারা গড়ে তুলবে চপ শিল্প।
সেখানে স্কুলে প্রজেক্ট হবে চপ,
সকলে ভিন্ন স্বাদের চপ গড়বে
ভিন্ন রঙের চপ গড়বে -
দেশে বিদেশে চপ রপ্তানি হবে
বিদেশি মুদ্রা আসবে।
চপের বদলে সোনা আসবে
দেশে সোনার দাম কমবে।
কালো টাকা সাদা টাকা মিলে
ছাই রঙের টাকা হবে।
ডলারের মতো -
সকলে চপ কারখানায় কাজ করার -
সি এস কে
পরীক্ষা দেবে।
আই আই টি র মতো
চপ শিল্পে ভর্তির  জন্য
লাইন লাগবে।
জয়েন্ট এন্ট্রানস্ হবে।
চপ ইন্ডাস্ট্রির জন্য।
বিদেশ থেকে সেখানে ছাত্র সমাগম হবে।
ডিগ্রী নিয়ে যাবে
সি,এস,বি,কে
"চপ শিল্পের বেস্ট কারিগর"
সেখানে সিঙুর হবে না
সেখানে নন্দীগ্রাম ও হবে না
জমি অধিগ্রহণ এর দরকার নেই
কাটাকাটি নেই - ঘরে ঘরে শিল্প।
সে রাজ্যে আর হাত পেতে কেউ ভিক্ষা করবে না।
সেখানে চপ শিল্প এর সাথী শিল্প হবে গ্যাস -
চপ খেলেই গ্যাস -
প্রচুর গ্যাস উৎপাদন হবে
জ্বালানি-
তাতেই চপ ভাজা হবে,
আর হবে সার -
তাতে হবে চাষ-
আলু বেগুন পটল মুলো-
সরষে ছোলা ধানের খোল-
তেল। এখন যা তেলের দাম -রাম রাম
গাড়ি শিল্পের থেকে চপ শিল্প মুনাফা দেবে বেশী।
পাঁচ বছরে তাদের দুতলা করে বাড়ি হবে রাস্তার ধারে।
সেখানে প্রতি পুজোয় দু হাজার করে টাকা দেবো
যাতে পুজোয় ঠাকুর দেখতে পারে।
নতুন জামা কাপড় কিনতে পারে।
যদিও তারা নেবে না -
তারা যে সব চপের কারিগর।
আজ মায়ের শশুর বাড়ি যাওয়ার দিন।
মা সকলকে বর দেবেন
আমিও বর চাইব,
যাতে একটা রাজ্য আমি কিনতে পারি।


===