তুমিতো আমাকে চেয়েছিলে
খরিদার হিসাবে কার্জন পার্কে,সিনেমা হলে,
মিলেনিয়াম পার্কে কিংবা আমার ঘরে
আমার বিছানায়।
যাকে তুমি স্বামী বলো।।
তুমি তো আমাকে চেয়েছিলে
সূর্যগঙ্গার ঘাটে নির্জনে নিভৃতে পূর্ণিমার জোছনায়
সবার অলক্ষে অনন্ত নৈঃশব্দে অবিনশ্বর জীবনের ভিতরে।
তুমিতো আমাকে চেয়েছিলে
সকালবেলার চায়ের কাপে
দুপুরবেলার ভাতের থালায় রাতের রুটি বা ভাতের
সাথে ডাইনিং টেবিলের চেয়ারটায়।
যাকে তুমি স্বামী বলো।
তুমিতো আমাকে চেয়েছিলে
সপিং মলে এ টি এম কার্ড সাথে।
একজন প্রহরীর মতো সপিং এর ব্যাগ কাঁধে।
বাপের বাড়ির পথে বাচ্চা কাখে, ভ্যানিটি ব্যাগ কাঁধে।
যাকে তুমি স্বামী বলো।
তুমিতো আমাকে চেয়েছিলে
অনুগত আজ্ঞাবহ রাইচরনের মতো
হিমস্বরে অনন্ত খাদ পেরিয়ে জীবনের সব সফল
মানুষের মতো।
আমিতো তাই হয়েছি।
আমিতো তোমার ঘরের দরজায়
গোদরেজের তালার মতো আজো আছি।
তোমার পাহারায়।
আমিতো আছি তোমার আলমারির লকারে
অমুল্য গহনা হয়ে।
আমাকে আবৃত করো, শুদ্ধ করে স্পর্শ করো।
আমিতো আছি তোমার বারান্দায় বেল ফুলের
গাছটি হয়ে।
আমিতো আছি তোমার দুয়ারে বাঁধা ইচির মতো
তোমার পাহারায়।
আরো আরো বহুদিন থাকবো তোমার দেওয়ালে
ফটো ফ্রেমে টাঙানো ছবিটার মতো ফুলের মালা গলে।
থাকবো আরো হাজার বছর  সন্তানদের পিতা প্রপিতা তস্য পিতা হয়ে।।
থাকবো নাম পরিবর্তন না হওয়া দলিলটায়।