আচ্ছা !
আমরা কি উলঙ্গ হচ্ছি?
পায়ের দিক থেকে -
বুকের দিক থেকে -
মাথার দিক থেকেও।
হাতা গেছে -ম্যাগি।
পায়ের দিকে এক কোয়ার্টার বাদ- থ্রি কোয়ার্টার।
তারপর হাফ্-
এখন হট্।
আমরা উলঙ্গ হচ্ছি।
যাদের মা বলে ডাকার ইচ্ছে
তাদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া কঠিন।
উন্নত বক্ষের সন্ধিস্থল প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা -
অনাবিল আকাঙ্ক্ষা।
নাভীকুন্ডকে মুক্ত করার আকুতি।
সংঘর্ষ -
চোখের সঙ্গে মনের -
চেতনার বলি দিয়ে কামনার সঙ্গে লড়াই।
কেন?
বাস্তবের ষড়যন্ত্রে অমোঘ মোহ
মনের মনিকোঠা সঞ্চিত হয়।
সমাজ ও তার ভেতরে ধরা ঘুন পোকা গুলো
দূরে ঠেলে দি এখনো।
তবু যেন মনে হয় উলঙ্গ হয়ে যাচ্ছি
প্রতিদিন একটু একটু করে।
ভয় হয় কে বা কারা?
মেয়ে সন্তান গুলোর মধ্যে
আধুনিকতার ছলনায় উলঙ্গ করে দিচ্ছে।
থিয়েটারে -
সিনেমায়-
টিভির পর্দায়-
মোবাইলের ছোট্ট স্ক্রীনে -
সমাজ সংস্কারের নামে !
অতি জঘন্যতম খবর সকালের প্রভাতী খবরে
রসনাত্মক রসালো গল্প
সকলকে উলঙ্গ করে দিচ্ছে না কি
প্রতিবাদহীন এই বৃহৎ সমাজকে?
===