মহাজনের গুদাম ছাড়ো
বিশ্বসুন্দরী।
যারা তোমায় জীবন দিল
করলে জোচ্চুরি।
কাজতো ভারি করলে সোনা
দেখাও কেন ঝাঁঝ।
থাকো না যত সেজেগুজে
পড়বে মাথায় বাজ।
অন্ধকারে গুদাম ঘরে
শুকিয়ে কাঠ হবে।
নয়তো হঠাৎ পচন ধরে
রূপটা তোমার যাবে।
ভালোবেসে সোহাগ করে
সকাল সন্ধ্যায় আদর।
রূপটা তোমার ঘষে মেজে
দেবে রঙীন চাদর।
যারা তোমায় আনন্দে খায়
লংকা মুড়ি দিয়ে ।
মাংস রাঁধে দারুণ পিষে
রসুন বাটা দিয়ে।
গোলমরিচের গুঁড়ো ঢেলে
কানে কানে বলে।
দিদি তোমার দারুণ ঝাঁজে
নোলা ভরে জলে।
শোনো শোনো সুন্দরী গো
বেরিয়ে আসো বেবাক।
পরের বছর আসছে নতুন
ভাঙবে তোমার দেমাক।
রঙ মেখে আর সং সেজে
বাড়াও কেন দাম।
ছেড়ে দাও এবার তুমি
মহাজনের গুদাম।
নইলে বাপু মরবে পচে
সবাই যাবে ছেড়ে।
গা হতে সব জামা কাপড়
সবাই নেবে কেড়ে।
খুশিতে আজ নাচছ ভারি
শরীরে ভারি তেজ।
বয়স হলে গুদাম ঘরেই
বেরিয়ে যাবে লেজ।
মহাজনের গুদামে পড়ে
মরবে পচে গলে।
আমাদের সব তোমায় ছাড়াই
খুশিতে দিন চলে।।
===