বৈশাখী তোর খুবতো সাহস
সকাল বিকেল আসিস।
জানিস না কি পাড়ার লোকে
বলে তুই আমায় ভালোবাসিস।
কত গুঞ্জন কত কথা রটে সমাজ মাঝে।
আসবি যদি আয় না তুই একেবারে সাঁঝে।
আর আসবি যদি আয় না তবে লুকিয়ে চুরিয়ে আয়।
নীরবে আয় পাড়ার লোকে তোকে যেন দেখতে না পায়।
তা না তুই ভাঙবি গাছ ভাঙবি বাড়ি
এমন করলে তোর সাথে চিরদিনের আড়ি।
কলঙ্ক কি তোর এতই  লাগে ভালো।
হায়রে হায় এ বয়সে মানটা আমার গেলো।
কেন এত উচ্ছাস তোর?
গায়ে কেন এত জোর?
শহরতলীর লাইট পোষ্টটাও উপড়ে ফেলে দিলি।
দামোদরের সঙ্গে মিলে সব ভাসিয়ে গেলি।
কত যে নাও ডুবিয়ে এলি
কি যে সুখ নিজে পেলি
বলতো আমায় সোনা।
আমার একটা ছোট্ট ঘর
তার থেকে তুই করলি পর।
এখন সব বড়ই অচেনা।
তার ওপরে বাসা করেছে ওপার থেকে এসে
প্রাচীর টপকে করোনারানী আমায় ভালোবেসে।
কত জনকে আর রাখব বল
তুইও করিস এমন ছল
যেন কতই ভালোবাসিস।
বাড়িতে আমার বৌ বাচ্চা
ভালো ও বাসে তারা সাচ্চা
এখন তুইও আবার কাঁদিস।
নারে সোনা আর হবে না
পরকীয়া বৌ মানবে না
যারে তুই চলে।
করোনাকেও সঙ্গে নে
গতিটা তোর বদলে নে
আসিস পরে করোনা মুক্ত হলে।