একে তো বন্দী দশা,তার ওপরে মৃত্যু।
জীবনের পঞ্চরস শুষ্ক।
একটা সর্বগ্রাসী আবহাওয়া -
সব বন্ধ করে দিতে চাইছে।
পেট মুখ হাত পা সব তার থেকে মন।
এখন আর ফুলের গন্ধ পাই না, তার লিখতেও পারি না।
বাতাসের সঙ্গে কথা হয় না, সেও স্তব্ধ।
প্রেম? সেতো অনেক আগেই লুকিয়ে পড়েছে আঁচলের তলায়।
সে খেঁপে আগুন হয়ে গেছে।
বন্দী বাতাস।
বন্দী ফুল আর সবুজ ঘাষ।
বন্দী আকাশ।
নীলাকাশে জীবনের মেঘ কখনো সাদা তুলোর মতো।
কখনো কালো ধোঁয়ার মতো। কখনো ধূসরবর্ণ।
ওদের বন্দী করেনি কেউ।
ওরা উড়ে বেড়ায় পাখির মতো।
আর মন পাখিটা,
বুকের ভেতর ডানা ঝাপটায় ইচ্ছে পাখি।
এ কার দাসত্ব করছি আমরা?
কি অপরাধে ঘর বন্দী?
দধিচির হাড়ে তৈরী বন্দীশালায় বন্দী মনুষ্যত্ব।
কলম যেন একই জায়গায় স্তব্ধ।
বন্দী মারন ভাইরাসের কারাগারে।
লিখতে পারি না অন্য কিছু -
প্রেম বাতাস বাতায়ন।
এ যেন উত্তাল প্রহর সমুদ্রের মাঝখানে
আটকে পড়া তরী।।