ও ঠাকুমা কেমন আছো
বৃদ্ধাশ্রম গিয়ে।
সময় মতো খাচ্ছো তো ভাত
মাছের ঝোল দিয়ে।
আদর করে কাছে বসায়
তোমার পাশের লোক?
ঝগড়া নিশ্চয়ই করে না কেউ
কেউ টেপে না চোখ?
গায়ে পড়ে কেউ দেয় না
ফোকলা গালটি টিপে।
ভালো ভালো কথা বলে
আগে পিছে মেপে।
আমি ভারি দুষ্টু ছিলাম
খালি টিপতাম গাল।
রাগের চোটে সারাদিন টায়
পাড়তে তুমি গাল।
মোদের ছেড়ে ভালো আছো
ভালো কাটছে রাত।
মারামারি কেউ করে না
কেউ কাড়ে ভাত।
বাবা ভারি কষ্টে আছে
তোমায় বলি আজ।
রাতের পরে রাত চলে যায়
সুধুই করে কাজ।
ঘুম আসে না তোমার তরে
ভারি কষ্ট পায়।
অফিস গেলে হাতটা থাকে
তোমার ছবির পায়।
আমরা তো খুব ঝগড়া করতাম
তোমার কথা নিয়ে।
এখন আর কয় না কথা
কোন ব্যপার নিয়ে।
কি এমন করেছিলাম
ছেড়ে চলে গেলে।
বৃদ্ধাশ্রম গিয়ে তুমি
কি শান্তি পেলে?
বাবা কাঁদে ঘরের কোনে
মা বারান্দায়।
ভাল্ লাগে না তোমায় ছাড়া
ভারি কান্না পায়।
ও ঠাকুরদা সকাল বেলা
হাঁটতে বেরোও তুমি?
সময় মতো চা পাওতো
প্রানের ঠাকুর নমি।
দুপুরে ভাত খাও তো তুমি
পরিপাটি করি।
তোমায় সবাই আদর করে
রাখে আনন্দে ভরি।
তুমি করতে সরকারি কাজ
পেনশন মাসে মাসে।
বাবা করে প্রাইভেটে কাজ
বলো কার দোষে?
হয়তো কিছু সংসার চালাতে
টাকার দরকার ছিল।
তাই হয়তো তোমার কাছে
কিছু চেয়ে নিল।
তাতেই তোমার অপমান হলো
খাওয়ার খরচ চায়?
হাজার কষ্ট হলেও বাবা
সবার আবদার মেটায়।
মা কি তোমায় কটূকথা
বলে কি কোনদিন?
সেদিন হয়তো দরকার ছিল
করেছিল ঋণ।
তাই বলে ঘর ছাড়বে
যাবে বৃদ্ধাশ্রম?
একবার কি পড়ে না মনে
ঘরে মৌমি মম।
অনেক দিনতো কেটে গেল
এবার আসো চলে।
বলছি আমি তোমায় দাদু
বাবা কষ্ট পাচ্ছে বলে।
এসো না দাদু এসো না ঠাম্মা
ডাকছি দুই বোনে।
মা কাঁদে বাবা কাঁদে
দেখো ঘরের কোনে।
===