ছড়া-1


ফলের রাজা দেবে সাজা
বেশী যদি খাও।
আমাসাতে ধরবে খেলে
বলতো কি পাও?
ফলের মধ্যে সেরা ফল
ফলের রাজা আম
লেঙড়া হিম ফজলি তাদের
অনেক রকম নাম।
===
ছড়া 2


এঁটো আপেল বিখ্যাত দেশে
ব্রান্ড নাম নিয়ে।
নিউটনের গবেষনায়
পড়লে লাফ দিয়ে।
অসুখ বেসুখ সবার ঘরে
পুষ্টি জোগান দেয়
ডাক্তারবাবুর আদেশ পাতায়
কেমন স্থান নেয়।
===
ছড়া-3
---
পেয়ারা পাতা দাঁতের ব্যথায়
সিদ্ধ করে খাও।
কোথাও যদি আসে পাশে
ওষুধ নাহি পাও।
এক নিমিষে হারিয়ে যবে
দাঁতের ভীষণ ব্যথা।
আদিমকালের বিঞ্জলোকের
এমনি ছিল প্রথা।


ছড়া-4


চালের সঙ্গে মাংস মসলা
জমবে বিরিয়ানী।
আলু কেটে সিদ্ধ করে
দিতেও হবে জানি।
হালকা সিদ্ধ ভাতের ওপর
দুধ ঘি দাও তাতে
হালকা করে রঙ জাফরান
দিতে হবে সাথে।
কেমন লাগে চেঁখে দেখো
মোগলাই বিরিয়ানী।
মোঘলরা সব খেত এটা
সাহি খাবার মানি।
===
ছড়া-5


তাল পাকে ভাদ্রমাসে
বানাই একটা ছড়া।
কুড়িয়ে নিয়ে মাকে দাও
করবে তালের বড়া।
গোলগোল ফুলুড়ি মতো
তেলে দাও না ছেড়ে।
লাল লাল লাল নরম নরম
দাদুও নেবে কেড়ে।
মিষ্টি মিষ্টি দারুণ সৃষ্টি
নন্দ উৎসবে।
কৃষ্ণ এলো তার ঘরে
নাচে গরবে।
===
ছড়া-6


কাঠবিড়ালী দেখি না এখন
পিয়ারা খাবে কে?
ঘরে ঘরে পিয়ারা খায়
কি এক পোকাতে।
গাছের ডালে পিয়ারা বলে
কি যে পোড়া কপাল।
পেকে গিয়ে পড়ে গেলে
গৃহস্থ দেয় গাল।
===
ছড়া-7


বিড়াল মাসি বিড়াল মাসি
বাঘকে শাসন করো।
সুন্দরবনে ঘুরে এলাম
দেখলাম না যে বড়।
একটি বার  দেখা দিলে
কি ক্ষতি হতো?
ছবি তুলে ফেসবুকে
কেমন দেওয়া যেতো।
ছড়া-8


সূয্যি মামা লুকিয়ে কোথায়
পড়লে শীত কালে।
ঠান্ডা লাগে সকালবেলা
তোমায় নাহি পেলে।
বারান্দাটা তাকিয়ে থাকে
পূব পানে চেয়ে।
কাঁঠাল গাছে ফাঁকে ফাঁকে
ওঠে না পাখি গেয়ে।
==
ছড়া -9


রাহু এসে গিললো যে কাল
সূর্য টাকে সব।
পৃথিবীতে আঁধার দেখে
উঠল কলরব।
কাক ভাবে রাত হলো
ফিরতে হবে বাড়ি।
পেটের ক্ষিদে মেটেনি আজ
কেমনে যাবে ছাড়ি।
বাচ্ছা গুলো হাঁ করে রয়
মা কখন আসে।
ভালো ভালো খাবার পাবে
বসে সেই আশে।
===