এক যে ছিল ছোট্র ছেলে,
সেই ছেলেটা গল্প পেলে।
শুনতো সারাদিন।
কলকাতার এক বস্তিতে
থাকতো সে খুব  মস্তিতে
বসে বাজাতো বীন।
বস্তিতে যে মানুষ থাকে,
ভালোবাসতো সবাই তাকে
বাচ্চা বুড়ো সব।
মাঝে-মাঝে সবার কাছে
বায়না ধরতো ইলিশ মাছে
করতো কলরব।
বিপদ হতো করলে এমন
গরীবতো সব যেমন তেমন
ইলিশ পাবে কই।
বস্তিতে যারা হোমরা চোপড়া
ধরো গিয়ে তাদের তোমরা।
নইলে উপায় নাই।
গলির মোড়ে সেলুন খানা
বসেছিলেন অতুল রানা
কোথায় ইলিশ পাই।
শুনে রানা করলে মানা
ইলিশ কিনে করবে দেনা
এমন শক্তি নাই।
গলির ভেতর রোজ বিকেলে
রোদ কিছুটা ঝিমিয়ে এলে
তাসের আসর চাই।
মাথায় রঙিন পট্টি বেঁধে
বলতো এসে সেধে সেধে
কোথায় ইলিশ পাই।
মজার কথা কি যে বলি
ছেলেটা যে বলতো ডেলি
ইলিশ সে খাবেই।
সবাই মিলে চাঁদা তুলে
ইলিশ একটা হাতে পেলে
এবার ছেলেটাকে চাই।
একদিন গেল দুদিন গেল
ছেলেটারে নাহি পেল।
ইলিশ গেল বৃথাই।
নানা রঙের দিন গুলো
কেটে ছিল ধরেনি চুলো
তবুও ইলিশ এসেছিল
ছেলেটি আসে নাই।
মাসেক পরে খবর এলো
মর্গে পড়ে এলো মেলো
সবাই সেথা দৌড়ে গেল।
দেখে সেই ছেলেটাই।
গিয়ে ছিল ধরতে ইলিশ
নদীর বুকে ধরলো পুলিশ
সবাই বলে কি যে বলিশ।
বলার কিছু নাই।
চার চারটে গুলি বুকে
শুয়ে আছে কেমন সুখে
তাকিয়ে আছে সকল লোকে
ইলিশ পেলো নাই।
===========